TRENDING:

নিজেদের গড়েই আক্রান্ত সাংসদ-বিধায়ক! হামলা নেপথ্যে দলের অন্তর্ঘাত দায়ী নয় তো? উত্তরের মাটিতে চড়ছে পারদ

Last Updated:

এলাকায় আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, সেখানেই সেদিন তার কিছুক্ষণ আগে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনিও বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান, কিন্তু তাঁর উপরে কোনও হামলা হয়নি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নাগরাকাটা: বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে গত সোমবার নাগরাকাটায় ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনার পর উত্তরবঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়ছে। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এই অঞ্চলে এখন গেরুয়া শিবিরের মধ্যেই উঠছে অস্বস্তিকর প্রশ্ন। নিজেদের গড়ে সাংসদ-বিধায়ক আক্রান্ত হলেন, অথচ প্রতিরোধের ন্যূনতম চেহারাও দেখা গেল না কেন? ঘটনার সময় দলীয় কর্মীরা কোথায় ছিলেন? কেন দলের তরফে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ দেখা গেল না? উত্তরবঙ্গে বিজেপির প্রভাব-প্রতিপত্তি কোথায় গেল? সেই সূত্রে পাহাড়ের মাটিতে ঘুরছে তৃণমূলের কটাক্ষ, উত্তরবঙ্গে বন্যার জলে শুধু রাস্তা ভেসে যায়নি, বিজেপির ভিতও ভেসে গিয়েছে।
News18
News18
advertisement

খগেন মুর্মুর ওপর হামলার ঘটনায় বিজেপির অভ্যন্তরীন কোন্দল রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে এলাকায় আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, সেখানেই সেদিন তার কিছুক্ষণ আগে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনিও বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান, কিন্তু তাঁর উপরে কোনও হামলা হয়নি। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। সূত্রের খবর, তার কিছু পরেই ওই এলাকায় ঢুকে রীতিমতো মারমুখী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় খগেন ও শঙ্করকে। একই এলাকায় একই দিনে রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি সাংসদ-বিধায়কের যাওয়ার ঘটনায় দলের অভ্যন্তরে পরস্পরের সমন্বয় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কাফ সিরাপের নেশায় বুঁদ! নিষিদ্ধ মাদক-সহ পুলিশের জালে বড়সড় পাচারচক্র
আরও দেখুন

সেই সূত্রে রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণে উঠে আসছে, ২০২১ সালের পর থেকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন আগের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়েছে কিনা। কারণ, ২০২৬ সালের ভোটে বিজেপির সবচেয়ে বড় ভরসা এই উত্তরবঙ্গ। এমন পরিস্থিতিতে সেদিনের  হামলা কেন ঠেকানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের মধ্যেই। যদিও এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বুধবারই হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন, ‘পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করলে মারের পাল্টা মার হবে, অন্তত উত্তরবঙ্গে তো হবেই।’ তাই ২০২৬-এর ভোটের মুখে সংগঠনকে নতুন করে ঝাঁঝালো করে তোলাই এখন রাজ্য বিজেপির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কোন পথে গেরুয়া শিবির সেটা করতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল সব মহলে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
নিজেদের গড়েই আক্রান্ত সাংসদ-বিধায়ক! হামলা নেপথ্যে দলের অন্তর্ঘাত দায়ী নয় তো? উত্তরের মাটিতে চড়ছে পারদ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল