যে অফিসে বসে দিলীপ ঘোষ এক সময় বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ১৮ জন সাংসদ এবং ৭৭ বিধায়ক দিয়েছিলেন, সেখানেই তাঁর এই আয়োজনে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মাঝে বেশ কিছু বছর বিজেপি-তে প্রায় একঘরে হয়েছিলেন দিলীপ। এই অফিসেই তিনি এতদিন ঢুকতে পারতেন না। এমনকি পার্টি অফিসে তাঁর ঘর পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। দফতরের নীচের হলঘরে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার অপরাধে ওই ঘরেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘হিরো হওয়ার চেষ্টা করছেন’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
সম্প্রতি শমীক ভট্টাচার্য দলের সভাপতি হন। এরপরেই মনে করা হচ্ছিল ব্যাপক রদবদল হবে দলের অন্দরে। নভেম্বরেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সভাপতি হওয়ার পরেই শমীক ভট্টাচার্য উদ্যোগ নেন দিলীপের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার। বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনের খবরে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, ফের দিলীপ ঘোষকে কোর কমিটিতে নিয়ে আসা হতে পারে।
সূত্রের খবর, শমীক ভট্টাচার্য, রাহুল সিনহা-সহ সব বিজেপির কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেই বিজয়া সম্মিলনীতে। জানা গিয়েছে, দুপুর তিনটের সময় হবে এই অনুষ্ঠান। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বহু বিতর্কের কার্যত অবসান হবে শনিবারের এই বিজয় সম্মিলনী অনুষ্ঠানে।
অনেকেই বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে দিলীপ ঘোষকে কাজে লাগাতে চান শমীক ভট্টাচার্য। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য অফিস ব্যবহার করার অনুমতি মিলল বলে মনে করা হচ্ছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে এসআইআর তথা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী। দ্রুত চড়ছে রাজনীতির পারদ। এর মাঝেই বঙ্গ বিজেপিতে ঝড়। ফিরে আসছেন দিলীপ ঘোষ? রাজনৈতিক দরজা যেমন চরমে উঠেছে দিলীপ ঘোষের ফেরা নিয়ে তেমনি পরবর্তী দিনে এই ঘটনা বঙ্গ বিজেপি-কে কতখানি স্বস্তি কিংবা অস্বস্তিতে ফেলে সেটা দেখার।
