সূত্রের খবর, এক জন ডিআইজি, দু’জন ডিএসপি ও তিন জন অতিরিক্ত পুলিস সুপার মর্যাদার অফিসারকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা খুব শীঘ্রই কলকাতা অফিসে কাজে যোগ দেবেন। এছাড়াও নতুন করে চারজন ইন্সপেক্টরও আনা হবে এই দুর্নীতি দমন শাখায়। সিবিআই দিল্লি সদর দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা এসিবি-তে অফিসারের সংখ্যা কম। নারদ মামলার পর মাঝে কয়েক বছর তেমন বড় কোনও মামলা না হলেও গত দুবছর ধরে গরু পাচার, কয়লা পাচারের মতও বৃহত্তর দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। যার জাল বহুদূর বিস্তৃত। যার তদন্তের জন্য জেলাস্তরে গিয়ে আধিকারিকদের কাজ করতে হচ্ছে। এর সঙ্গে গত দু’মাসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও একের পর এক এফআইআর করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাই অফিসারের অভাব মেটাতে বেশ কয়েকজন অফিসারকে বদলি করা হচ্ছে কলকাতায়।
advertisement
আরও পড়ুন - Tripura Assembly Election: ত্রিপুরা উপনির্বাচনে নজর কাড়ছেন সুদীপ রায় বর্মণ
ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন শাখায় জয়েন্ট ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব নিয়েছেন ১৯৯৫ সালের হিমাচল ক্যাডারের আইপিএস এন বেনুগোপাল। যিনি গত মাসেই ডেপুটেশনে সিবিআইয়ে এসেছেন। আর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে দুর্নীতি দমন শাখা থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল ইকোনমিক্যাল অফেন্স উইঙ্গ-৪ এর। মূলত রাজ্যজুড়ে চলা বেআইনি অর্থলগ্নি বা চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলাগুলি দেখবেন পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। এছাড়াও যেহেতু ওনার কাঁধে দিল্লিরও একটি দফতরের দায়িত্ব রয়েছে, তাই তিনি পুরো দস্তুর দুর্নীতি দমন শাখার কাজে মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। এক কর্তার কথায়, যে হারে দুর্নীতি দমন শাখায় মামলা বেড়েছে তাতে অফিস, আদালত সব দিকে পুরো দস্তুর নজর রাখতেই দুর্নীতি দমন শাখার জন্য জয়েন্ট ডিরেক্টর পাঠানো হয়েছে।
Amit Sarkar