বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়েও মুখ খুলেছেন অতনু দে-র বাবা৷ জানান, "বাগুইআটি থানা কোনও কাজ করে না। এই পদক্ষেপ আরও আগে করলে খুশি হতাম। আমরা প্রথম থেকেই জানতাম সিআইডি ছাড়া এই তদন্ত করা অসম্ভব, তাই সিআইডি তদন্ত চেয়েছিলাম।"
আরও পড়ুন: 'সিডিতেই আছে সব প্রমাণ', সিবিআই-এর অকাট্য যুক্তিতেই বিপদে অনুব্রত! ফের সেই জেলেই
advertisement
আরও পড়ুন: বাগুইহাটির নৃশংস খুনের ঘটনায় সঞ্জীব-তীর্থঙ্করের স্মৃতি মনে করালেন কুণাল
অন্য দিকে অতনু দে-র আত্মীয় নিহত আরও এক ছাত্র অভিষেক নস্করের পরিবার জানায় সিআইডি একমাত্র তদন্ত করে এই ঘটনার কিনারা করতে পারবে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে কেন এখনও গ্রেফতার করা গেল না ? সেই নিয়ে বারবার করে প্রশ্ন তুলেছে অভিষেক নস্করের পরিবার। তাঁরা আরও জানান, বাগুইআটি থানার আইসিকে সরিয়ে ভাল কাজ করেছে প্রশাসন। কারণ দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনায় পুরোপুরিভাবে নিষ্ক্রিয় ছিল বাগুইআটি থানা এবং থানার আইসি কল্লোল ঘোষ।
রাজ্য পুলিশের হাত থেকে পুরো তদন্তভার সিআইডির হাতে যাওয়ায় খুশি অতনুর এলাকার মানুষও। স্থানীয়েরা এদিন দুপুরে যখন বাগুইআটি থানার পুলিশকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই সিআইডি তদন্তভার হাতে নেওয়ার খবর আসে। সেই খবর শুনে এলাকাবাসী খানিক আশ্বস্ত হন। তাঁদের ক্ষোভ খানিক প্রশমিত হয়। এলাকাবাসীর বক্তব্য অবিলম্বে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে আগে সিআইডিকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত অন্য অভিযুক্তদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তদন্তভার সিআইডির হাতে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে এলাকায় প্রবেশ করতে পারে পুলিশ।