রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কারাবন্দি৷ এর পরেও তাঁকে কেন ‘মন্ত্রী’ বলা হবে, কী ভাবে তিনি বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন? এই সমস্ত প্রশ্ন তুলে এদিন অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডার দাখিল করতে চান বিরোধী দলের বিধায়কেরা৷ তা নিয়েই প্রাথমিক ভাবে তর্কাতর্কি বাঁধে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে৷
advertisement
হট্টগোলের মাঝেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পয়েন্ট অফ অর্ডার আনতেহলে, তা আনতে হবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে৷ এরপরেই বিধানসভা কক্ষ থেকে শ্লোগান তুলে ওয়াক আউট করে বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়কেরা৷
বিধানসভায় গতকালের ঘটনা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘গতকালের ঘটনার অভিযোগ আমি পেয়েছি। সমস্ত দিক খতিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় সংগীত ওরা শুনতে পেয়েছি কী পাইনি সেটা ওদের ব্যাপার। অনেক সাংবাদিক ওখানে ছিল তারা তো শুনতে পেয়ে দাঁড়িয়েছে। দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। তবে যাই হোক না কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে আমি জানাব।’’
আরও পড়ুন: আজ কলকাতায় অমিত শাহ! সকাল থেকেই শহরমুখী বিজেপিকর্মীরা, এড়িয়ে চলবেন কোন কোন রাস্তা?
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তৃণমূল। বক্তব্য রাখার পরে মমতা দলের বিধায়কদের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ধরনা শেষ করতে বলেন৷ কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত চলার সময়ও শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের৷ এতেই জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে নালিশও জানান পরিষদীয় মন্ত্রী। যা নিয়ে যুযুধান শাসক- বিরোধী তরজা তুঙ্গে। সরগরম রাজ্য রাজনীতি।