হাউজে তুমুল অশান্তি। শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে কার্যত হাউজের কাজ শিকেয় ওঠে মঙ্গলবার। সব বিধায়করা আসন ছেড়ে উঠে পড়েন। শাসক ও বিরোধী তরজা তুঙ্গে পৌঁছয়। শেষমেশ ওয়াক আউট করে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ওদের প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। ধর্মীয় মেরুকরণ শব্দ বাদ যাবে ওদের।”
advertisement
প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অধ্যক্ষকে বলেন, “এই মেরুকরণ ওরা করছে। আপনি খালি রেকর্ড থেকে বাদ দিচ্ছেন। কিন্তু এই কথা বাইরে যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে শপথ নিয়ে এসেছেন ওরা। আপনি তো সাংবাদিকদের স্বাধীনতা, ওদের বাইরে গিয়ে কথা বলার স্বাধীনতা তো আটকাতে পারেন না।” অন্যদিকে অরুপ বিশ্বাস বলেন, “প্রতিদিন হাউজের সময় নষ্ট করা হচ্ছে। মন্ত্রীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। আপনাকে ব্যবস্থা নিতেই হবে।”
নওসাদ সিদ্দিকী এই প্রসঙ্গে বলেন, “যাঁরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের একযোগে লড়তে হবে। আমি নিজের ধর্মকে যতটা শ্রদ্ধা করি। অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা করি। দোষী যেই হোক, যেই ধর্মের হোক, তাকে আড়াল না করে। দোষীকে দোষী হিসাবেই দেখা হোক। প্রয়োজনে শাসক বিরোধী যৌথ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করে এলাকায় পাঠানো হোক। দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। সমাজব্যবস্থাকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা আমাদের আটকাতে হবে।” টেবিল চাপড়ে নওসাদকে সমর্থন জানান একাধিক শাসক দলের বিধায়ক।এরপরেই বিজেপি হাউজে মুলতুবি প্রস্তাব আনে।