আজ থেকে একটু ৪০ বছর আগের পাতা উল্টিয়ে দেখা যাক: সাল ১৯৮৫- বিজ্ঞাপন জগতের তিন মহারতি ডেরেক ও ব্রেন, সুমিত রায় এবং কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও এশিয়ান পেইন্টস এর যৌথ উদ্যোগে বারোয়ারি পুজোর শিল্পের শ্রেষ্ঠত্বকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরতে শুরু হয় শারদ সম্মান, যেখানে শ্রেষ্ঠ পুজো, বছরের বিস্ময়, শ্রেষ্ঠ প্রতিমা শিল্পী এবং বিশেষ সম্মানের মত বিষয় নিয়ে শারদীয়ার সঙ্গে জড়িত শিল্পকে উৎসাহ প্রদান করার রীতি বুনন শুরু হলো। ১৯৮৫ সালে সূচনাপর্ব থেকে এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান দেখতে দেখতে ৪০ বছরে পা দিল।
advertisement
প্রতি বছর দুর্গা পুজোর সময় তাঁরা নতুন চমক দেয়। চলতি বছর তাঁদের চমকের নাম, ‘চলতে চলতে ৪০’। এই চার দশককে স্মরণীয় করে রাখতে এশিয়ান পেইন্টস বেছে নিয়েছে কলকাতার অন্যতম প্রতীক — হলুদ ট্যাক্সি। শহরের পুজোর সফরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত এই বাহনটি আজ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। বহু দশক ধরে এই ট্যাক্সিই বহন করেছে গোটা পরিবারকে প্যান্ডেল–হপিং-এর পথে, কুমোরটুলি থেকে খড় আর মাটির বোঝা নিয়ে আসা শিল্পীদের, এমনকী এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান বিচারকদেরও ভিড়ভাট্টার পাড়ার গলিপথে। ট্যাক্সিগুলিকে শিল্পে রূপান্তরিত করা ছিল একইসঙ্গে শ্রদ্ধার্ঘ্য ও পুনর্নির্মাণ — চল্লিশটি ট্যাক্সি, প্রতিটি একটি দশকের প্রতিনিধিত্ব করে, হয়ে উঠেছিল চলমান আর্কাইভ।
ট্যাক্সিগুলির ভিতরের সাজসজ্জা করা হয়েছিল এশিয়ান পেইন্টসের নিজস্ব ওয়ালপেপার ও ফেব্রিক সংগ্রহ থেকে, রয়্যাল গ্লিট্জ পেইন্টের সঙ্গে মিলিয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করতে যা প্রতিটি দশকের প্রতিফলন। ওয়ালপেপার নেওয়া হয়েছিল সাব্যসাচীর প্যারিস–কলকাতা সিরিজ, লা ভি সিরিজ, ম্যাগনোলিয়া হোম সিরিজ, সাব্যসাচীর হার্টল্যান্ড সিরিজ এবং সোলেস সিরিজ থেকে। ফেব্রিক সংগ্রহ করা হয়েছিল এশিয়ান পেইন্টসের বিস্তৃত টেক্সটাইল রেঞ্জ থেকে, যার মধ্যে সাব্যসাচীর প্যারিস–কলকাতা সিরিজও অন্তর্ভুক্ত।
শহরে এক পাঁচতারা হোটলে এক অনুষ্ঠানে উদযাপিত হয় ‘চলতে চলতে ৪০’। উপস্থিত ছিলন এশিয়ান পেইন্টস লিমিটেড-এর এমডি ও সিইও অমিত সিংল, সঙ্গে বাংলার সিনে জগতের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব — অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং সৌরসেনী মৈত্র।