গতকাল সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন অশোক লাহিড়ী নিজেও। তিনি সরকারের বাজেটটি মন দিয়ে শুনে বলেন, ত্রাণের ব্যবস্থা করার আশ্বস থাকলেও, পরিত্রানের কোন চেষ্টা নেই। রাজনৈতিক মহলের মত এটাই অশোক লাহিড়ীর বাজেট নিয়ে আজকের প্রতিক্রিয়ার ক্যাচ লাইন। অশোক লাহিড়ী ইতিমধ্যে অস্ত্রে শান দেওয়াও শুরু করেছেন। তিনি গতকালই বলেছেন, রাজ্য মাথাপিছু আয়ে পিছিয়ে পড়ছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা উন্নয়ন নেই বলেই ভিন রাজ্যে যাচ্ছেন। রাজ্যের জিডিপি নিয়ে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে তা ঠিক নয়।
advertisement
কিন্তু কথায় কথায় বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করা, শাসক দলকে চাপে রাখা শুভেন্দু কেন কথা বলবেন না আজ? নিজেকে সিএম এর প্রতিপক্ষ হিসাবে তুলে ধরা। তথ্য বলছে অশোক লাহিড়ীকে বিজেপি প্রজেক্ট করেছিল তাঁর দামদর বুঝেই। অর্থনীতির শিক্ষক, অৰ্থমন্ত্রকের উপদেষ্টা অশোক লাহিড়ি চার দশকের বেশি বাজেট বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর মতো অভিজ্ঞতা বিধানসভায় কারও নেই। ফলে শুভেন্দুই চাইবেন এক্ষেত্রে তাঁকে এগিয়ে রাখতে।
প্রসঙ্গত বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বাজেটে উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। এমন দিনে এই কথা উঠল যেদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় এ রাজ্য থেকে উত্তরবঙ্গের ২ মন্ত্রীর জায়গা পেলেন। সরাসরি অমিত শাহর মন্ত্রকে ঠাঁই হল নিশীথ প্ৰামাণিকের। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন জন বার্লা। শুভেন্দু তৃণমূলের ইস্তেহারটি সঙ্গে রেখে বারংবার বলার চেষ্টা করলেন শাসক দল কথা রাখছে না। কিন্তু এটি তার রাজনৈতিক অবস্থান। বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণে তিনি নিজেকে অধিকারী মনে করছেন না। বরং অশোক লাহিড়ীকেই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ভাবছেন বিরোধী দলনেতা।
তাই আজ বিরোধী দলনেতার ভাষন নয়, রাজ্য বাজেটের অন্তঃসার শূন্য কঙ্কালসার অবস্থার আসল ছবি তুলে ধরে সরকারকে কোনঠাসা করবে বিজেপি অশোক লাহিড়িকে সামনে রেখেই। ঘাটতি বৃদ্ধি, বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমান বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানে দিশাহীনতা নিয়ে কথা কথা বলতে পারেন অশোক লাহিড়ী। শিল্প বলতে শুধু রিয়েল এস্টেট, আসতে পারে এই বিষয়টিও। সরকার দেড় কোটি কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছে। কোন পথে হবে এই কর্মসংস্থান, সরকারের রুটম্যাপ কই, এই প্রসঙ্গও আনতে পারেন অশোক লাহিড়ী।