কী করবেন বিধায়ক হয়ে? অগ্নিমিত্রার জবাব, 'মহিলাদের উপর অত্যাচার রুখতে কথা বলব। আমি জিতেছি অনেক লড়াই করে। আমার এলাকায় কোনও হিংসা অশান্তি হতে দেব না।'
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আসানসোলের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন সায়নী। ঝড়, জল, রোদের তোয়াক্কা না করে প্রচারের ময়দান কাঁপিয়েছেন তিনি। শাড়ি পরে তাঁর দৌড় এখনও ভোলেনি এলাকার মানুষ। কিন্তু দিনভর ভোটবাক্সে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অন্তিম লগ্নে বাজিমাত করেন অগ্নিমিত্রাই। আসানসোল দক্ষিণে অগ্নিমিত্রা পাল বনাম সায়নী ঘোষের মধ্যে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, তা আগেভাগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। দুই শিবিরের প্রার্থীই ছিলেন তারকা। সেই তারকা লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীই।
advertisement
তবে, হেরে গেলেন নিজের কেন্দ্রের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সায়নী। প্রচারে এলাকাবাসীর মন কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। নায়িকা থেকে নেত্রী হয়ে ওঠার পথে তাঁকে কোথাও বাধো-বাধোও লাগেনি। তা সত্ত্বেও আসানসোল দক্ষিণে BJP নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হন তিনি। কিন্তু হারের পরও দলীয় কর্মীদের মধ্যে থেকে দাবি উঠেছে, সায়নী ঘোষকে আসানসোলের কোনও প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। বুধবার রাতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এই দাবিতে রাস্তায় নামেন। স্লোগান ওঠে, ‘we want Saayoni ’। পরাজয় সত্ত্বেও সায়নীকে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও গুরুদায়িত্ব দেন কিনা, সেটাই দেখার।