১৯৮৭ সালে এ রাজ্যে প্রথম বারুইপুর ও বারাসতে মিলেছিল আর্সেনিক। যা থেকে ক্যানসারের মতো মারণরোগও হতে পারে। সেই আর্সেনিকই ফের চোখ রাঙাচ্ছে। এ'বছরই পশ্চিমবঙ্গের ৯ টি জেলায় সমীক্ষা চালায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ এবং সমীক্ষার যা রিপোর্ট তা আঁতকে ওঠার মতো।
রিপোর্ট বলছে, ৯টি জেলার ১১৭টি ব্লকে মিলেছে আর্সেনিক। ৩ হাজার ৪১৭টি গ্রামের প্রায় ৫২ লক্ষ মানুষ আর্সেনিকে আক্রান্ত ।
advertisement
তড়িৎ রায়চৌধুরী (ডিরেক্টর, স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাল) জানান, ''হু এবং ইন্ডিয়ান ওয়াটার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী জলে আর্সেনিক থাকার কথা সর্বোচ্চ ১০ মাইক্রোগ্রাম পার লিটার। কিন্তু অনেক জায়গাতেই বহুগুণ বেসি। কোথাও আবার তিন হাজার সাতশোমাইক্রোগ্রাম মিলেছে। মানে ৩৭০ গুণ।''
সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, খাস কলকাতার যাদবপুর, বাঁশদ্রোণি, রানিকুঠি, নাকতলা, গড়িয়া, বাঘাযতীন, বোড়াল এবং টালিগঞ্জে ভূগর্ভস্থ জলেও মিলেছে আর্সেনিক। আর্সেনিকের এমন দাপটে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকারও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটির অনেক নীচ থেকেও যদি নলকূপের মাধ্যমে জল তোলা হয়, সেক্ষেত্রেও আর্সেনিকের আশঙ্কা থেকেই যায়।
এই আর্সেনিকের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী ? তড়িৎ রায়চৌধুরী জানালেন, '' সারফেস ওয়াটারে ফিরে আসতে হবে। বৃষ্টির জলকে কাজে লাগাতে হবে। নদীর জলকে পরিস্রুত করে ব্যবহার করতে হবে।''
আরও পড়ুন- সাহেবি কেতা-কেক-আলো ঝলমলে রাস্তা-মেরির কোলে যিশু, এক ক্লিকে বড়দিনের পার্কস্ট্রিট