এদিকে গোপাল দলপতির খোঁজ পাচ্ছে না ইডি। এতদিন ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, চিটফান্ড মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন গোপাল। তাকে জেরা করতে চেয়ে দিল্লিতে যোগাযোগ করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। গতকাল ইডি অফিস থেকে ফোন করা হয়েছিল দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের সেকশনে। তখনই ইডি-কে কে জানানো হয় প্রায় প্রায় এক বছর আগেই জামিন পেয়েছে গোপাল, আর তারপর থেকেই বেপাত্তা। জিজ্ঞেসবাদ জন্য গোপালকে খুঁজছে দিল্লি পুলিশও। সূত্রের খবর, ইডি গোপালের বাড়ির খোঁজ করবে। তার বিরুদ্ধে non bailable warrent ইস্যু করার ভাবনাও রয়েছে ইডির।
advertisement
ইতিমধ্যেই, কলকাতার ইডি অফিসের আধিকারিকরা গোপালের নোখোঁজ হওয়ার বিষয়টি দিল্লির ইডি দফতরে জানিয়েছে। গোপালকে চিটফান্ড মামলায় যে আদালত জামিন দিয়েছিল, সেই আদালত চাইলে গোপালের নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। জামিনের বন্ডে গোপালের যে ঠিকানা লেখা ছিল, সেখানেও যদি গোপালের খোঁজ না পাওয়া যায়, তাহলে আদালত যদি মনে করে যেন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, আদালতের কাছে দিল্লি পুলিশ ও ইডি এমনটাই আবেদন জানাবে। গোপালের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইডি গোপালের খোঁজ না পেলে, Non bailable arrest warrent ইস্যু করতে পারে। ইডি এবার লিগ্যাল সেলের ওপিনিয়ন নিচ্ছে।
জি নেট চিটফান্ড কাণ্ডে ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি দমদম বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয় গোপাল দলপতি। গুয়াহাটি পালানোর চেষ্টায় ছিলেন। সঙ্গে গ্রেফতার হয় তার স্ত্রী। তার পর তাকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি।