অর্পিতা দিদিমণইর মান ভাঙ্গিয়ে, মেজাজ ঠিক করতে মন্ত্রী মশাই আসরে নামিয়ে ফেলতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ পল্টন। বেহালায় ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর অবস্থিত বিধায়কের কার্যালয়ে এমন চার-পাঁচজন ছিলেন, যাদের কাজই ছিল অর্পিতা দিদিমণির দেখভাল করা। শুভ, রুপম আরও কত নাম বলা যায়! দিদিমণির হেভিওয়েট দাদার ফোন ধরছেন না কিংবা দেখা করতে আসছেন না। তলব পড়তো শুভ, রূপমদের।
advertisement
আরও পড়ুন- পার্থকে আমি ছাড়ব না, তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে বলেছিলেন ধনখড়, প্রকাশ তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রে
কারা এই শুভ কিংবা রুপম? সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। যা কেস হিস্ট্রি, এদের সম্পর্কেও গোটা একটা সিরিজ লিখে ফেলা যায়! যাক যে কথা বলছিলাম, এইরকমই একদিন মুড অফ অর্পিতা দিদিমণির। চিন্তার শেষ নেই হেভিওয়েট দাদার। ভেবেই আকুল হেভিয়েট দাদাবাবু। তা শেষমেশ জানা গেল দিদিমণির একটা পোষ্যের শখ হয়েছে।
তৎক্ষণাৎ কালো ফরচুনার ছুটল ডায়মন্ড সিটিতে। দিদিমণিকে নিয়ে আসা হল বেহালায়। বিধায়কের অফিসের বাইরে কালো কাচ ঢাকা কালো গাড়িতে বসে অর্পিতা দিদিমণি। আর পোষ্য জোগাড়ের দায়িত্বভার পড়ল শুভ, রূপমদের ওপর।
আরও পড়ুন- হঠাৎই কলকাতায় এলেন জ্যাকলিন, পুজো দিলেন কালীঘাটে
এই সব বেশিদিন আগের কথা নয়। বড়জোর মাসখানেক আগের ঘটনা। বিস্তর ফোনাফুনির পর বিধায়কের দফতরে লাইন লেগে গেল একের পর এক পোষ্যের। হেভিওয়েট মন্ত্রী মশাই তখন বিধায়কের দফতরে ভিড় করে আসা স্থানীয় মানুষের সমস্যা শুনবেন কি! অর্পিতা দিদিমণির মন রাখতে পোষ্য বাছতেই ব্যস্ত। একটার পর একটা পোষ্য আসছে। আর কোলে করে সেই পোষ্য শুভ, রূপমরা গাড়িতে নিয়ে গিয়ে দেখাতে ছুটছেন অর্পিতা দিদিমণিকে। শেষে কালো রঙের একটা বাচ্চা ল্যাব্রাডর মনে ধরল দিদিমণির। খুশিমনে বাচ্চা ল্যাব্রাডর নিয়ে দিদিমণি ফিরে গেলেন ডায়মন্ড সিটিতে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে।
কিন্তু ভাবা যায়, রাজ্যের একজন প্রথম সারির হেভিওয়েট মন্ত্রী তাঁর বিধায়কের দফতরে বসে স্থানীয় মানুষের অভাব অভিযোগ না শুনে ঘনিষ্ঠের মন 'ভজা'তে অফিসের ভেতরেই পোষ্যদের মেলা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এমন হাজারো 'দাদার কীর্তি' রয়েছে। আজ না হয় এই পর্যন্তই থাক!
PARADIP GHOSH