এদিন অর্পিতার আইনজীবী আদালতকে জানান, তাঁর মক্কেলকে ভাল কোনও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো দরকার৷ এরপরে বিচারক অর্পিতার জেলে চিকিৎসার নথিপত্র বিশদে দেখেন৷ সেখানেই দেখা যায় যে অর্পিতার এক্স-রে এবং স্ক্যানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ এরপরেই বিষয়টি নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন বিচারক৷
বিচারক জেল কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘‘উনি কেমন আছেন? আপনাদের রিপোর্টে দেখছি এক্স রে এবং স্ক্যান প্রয়োজন। কবে হবে এটা? দেখবেন যেন ভালভাবে চিকিৎসা হয়। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করাতে হবে। আপনারা তো এসএসকেএম-এ ট্রিটমেন্ট করান। রাজ্যের সবচেয়ে ভাল সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল এটা।’’
advertisement
এরপরে বিচারক অর্পিতার কাছেও জানতে চান তিনি কেমন আছেন৷ উত্তরে অর্পিতা জানান, “আমার শরীর ভাল নেই৷” বিচারক বলেন, ‘‘ওঁদের (জেল কর্তৃপক্ষের) উপর দায়িত্ব। যদি আপনার কিছু হয় তাঁর দায়িত্ব ওদের (জেল কর্তৃপক্ষ )। আইন সেই দায়িত্ব জেলকে দিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করান। আমি আজই অর্ডার করে দেব।’’
অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন বিচারক৷ জিজ্ঞেস করেন, ‘‘আপনি ( পার্থ ) কেমন আছেন?’’ পার্থ জানান, ‘‘আমার শরীর খুব খারাপ, সিবিআই কোর্ট জানিয়েছি।’’ বিচারক এরপর বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষ আছেন? ওঁর কিছু হেলথ ইস্যু আছে। ট্রিটমেন্ট জন্য অর্ডার হয়ে গিয়েছে। সেগুলো যাতে ঠিক করে হয় দেখবেন।’’