এই প্রণব ভট্টাচার্যই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি চালাতেন৷ প্রণবের দাবি অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস থেকেই তাঁকে অর্পিতার চালক হিসেবে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল৷
আরও পড়ুন: যার জন্য নায়িকার চরিত্রে অভিনয়, তাঁকেই জীবন থেকে বাদ দিয়েছিলেন অর্পিতা!
সাত মাস অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'ম্যাডামের' পরিচয়ের কথা জানতেন প্রণব৷ কিন্তু প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং অর্পিতা ম্যাডাম যে বিশেষ বন্ধু, কিছুদিন যাবৎ তা বুঝতে পেরেছিলেন বলে দাবি প্রণবের৷
advertisement
তাঁর কথায়, 'শেষ দিকে বুঝতে পেরেছিলাম ম্যাডাম আর উনি ভালো ফ্রেন্ড৷ একদিন রাতে ম্যাডাম ফেরার সময় আমাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে নিয়ে যেতে বললেন৷ ওখানে নেমে আমাকে গাড়ি নিয়ে ফিরে আসতে বলেন৷ আমি চলে আসি৷'
যদিও পেশায় গাড়ি চালক প্রণবের দাবি, অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটেই যে কোটি কোটি টাকা রয়েছে, তা কোনওদিন টের পাননি তিনি৷ ইডি তল্লাশির দিনই সংবাদমাধ্যমে জানতে পারেন যে টালিগঞ্জের ওই ফ্ল্যাটেই বাইশ কোটি টাকা রয়েছে! তল্লাশির সময়ই প্রণবের ফোনটিও নিয়ে নেন ইডি আধিকারিকরা৷
অর্পিতার ফ্ল্যাটে থাকা বিলাসবহুল কয়েটি গাড়ির খোঁজ মিলছে না৷ প্রণবের দাবি, যে গাড়িগুলির কথা বলা হচ্ছে সেগুলি গ্যারেজে রাখাই থাকত৷ কিন্তু গত তিন মাস ধরে সেগুলি দেখতে পাননি তিনি৷