প্রসঙ্গত, গতকালের ঝড়-বৃষ্টির শেষে বাংলার রবিবাসরীয় মেজাজে আজ সকাল থেকেই ফের এক ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল। প্রাকৃতিক নয়, এই ঝড় রাজনৈতিক। কারণ সূত্রের খবর ছিল, আজই ফুলবদলের পথে বিজেপির ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পদ্ম ছেড়ে ফের জোড়াফুলে পা দিতে চলেছেন নাকি তিনি। নিজেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে দিচ্ছেন তার আভাসও। যতদূর জানা যাচ্ছিল বিকেলেই 'ঘর ওয়াপসির' পথে অর্জুন। নিজেই সে ইঙ্গিত দেন তিনি। কলকাতা এসে আলিপুরের একটি হোটেলে ওঠেন অর্জুন সিং। কিছুক্ষণ পরেই আলিপুরের হোটেল থেকে তাঁর কনভয় পৌঁছয় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে। সেখানে বাড়ির বাইরে দেখা যায় অর্জুন সিং-এর অনুগামীদের।
advertisement
ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। রবিবার সকালেই তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘আমার কোথাও যাওয়ার কথা আছে। কারও সঙ্গে দেখা করার কথা আছে। আমাকে হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতা যেতে হবে। এমন কোনও কথা বা কাজ নেই যে আপনারা জানতে পারবেন না। অঘটন ঘটলে আপনারা জানতে পারবেন। যখন একদিকে যুদ্ধ শুরু হয় বা শেষ হয়, তখন বলাই যায় শেষের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। কোথাও শুরু তো কোথাও শেষ। একটু অপেক্ষা করুন, সবটা জানতে পারবেন।’ তাঁর কথাতেই বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত দেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ।
পাট বৈঠক-সহ বেশ কিছু ইস্যুতে সম্প্রতি বেসুরো সুরে বাজছিলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এই প্রেক্ষিতে অর্জুন সিংহ বলেন, "পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে।বিজেপিতে থাকতে চাইছি না, নাকি বিজেপি আমায় ধরে রাখতে পারছে না। কারও প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই। যে পাশে ছিল তাঁকেও ধন্যবাদ, যে বিরুদ্ধে ছিল তাঁকেও ধন্যবাদ। আমি পাটশিল্প নিয়ে লড়াই করেছি, মানুষ কাউন্সিলর থেকে সাংসদ করেছেন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমি ছিলাম। রাজনীতিতে সবকিছু সম্ভব, শেষ বলে কিছু নেই। আমি এখনও বিজেপিতেই আছি। দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ-ভালর প্রশ্ন নেই। যাঁর সঙ্গে আজ বৈঠক করব, বাংলার ভালর জন্য বৈঠক করব। কেন্দ্রের সঙ্গে পাটশিল্প নিয়ে বৈঠক হয়ে গেছে, এবার রাজ্যর সঙ্গে করব। খারাপ দেখেও যদি কেউ ঠিক করতে না চায়, তাহলে ক্ষোভ তো জন্মায়।"