যদিও বৃহস্পতিবার আরাবুলকে পাল্টা তোপ দেগেছেন শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, ”আরাবুল ইসলাম দলের কেউ নয়। ও এফআইআর করল, না অন্য কিছু করল, তা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। ভাঙ্গরের মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন ও কী করে আসলে। আদালতের নির্দেশে দু’দিন পঞ্চায়েত অফিসে যায়। সে যায় যাক। আমাদের বলার কিছু নেই। কিন্তু ও যেন দলের কাজে মাথা ঘামাতে না আসে। দল আর প্রশাসন আলাদা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সবটা জানিয়েছি। শীর্ষ নেতৃত্ব এবার ব্যবস্থা নেবে। আরাবুল আর তার ছেলে ২০২৪ লোকসভা ভোটে পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করেছিল। যদিও আমরা জয়লাভ করি। ২০২১ সালে ওর জন্যে আমরা হেরেছি। দলের ব্যাপারে যেন ও মাথা না ঘামায়।”
advertisement
ভাঙ্গরের অশান্তি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ”এলাকার শান্তি সবাই বজায় রাখুন। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমি পুলিশ -সহ প্রশাসনের সবাইকে একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বলব, রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা নিন। একটা-দুটো ঘটনার জন্য গোটা বাংলাকে কলুষিত করবেন না।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে পতাকা উত্তোলন করতে যাচ্ছিলেন ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল। কিন্তু দলীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত হয়। জানা যাচ্ছে, বিবাদে জড়ান আরাবুলের অনুগামীরা এবং ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকতের অনুগামীরা। আরাবুলের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছেন শওকত মোল্লা।