গত ডিসেম্বর মাসেই তৃণমূলের উপর আরও চাপ বাড়াতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত, এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছিল রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল।
সামনে যে যে রাজ্যেগুলিতে ভোট রয়েছে সেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সেই সূত্রে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন বারবার কলকাতায় আসছিলেন। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের তরফে চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা আগেই বলেছিলেন, 'নির্বাচন কমিশন জানে, কী ভাবে এবারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করাতে হবে।' একদা মাও অধ্যুষিত জেলা যেমন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় জেলাগুলিতে প্রথম থেকেই বেশি বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন।
advertisement
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে গোটা রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ছিল ৭৫০ কোম্পানি। আর সেখানে শুধু বাংলার প্রথম দফা ভোটের জন্য মোতায়েন থাকছে প্রায় ৭০০ কোম্পানি বাহিনী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে আট দফা ভোটের ঘোষণা করেই কমিশন বুঝিয়ে দিয়েছিল বাংলাকে দুর্গ করেই ভোট পরিচালনা করা হবে। বাস্তবে ঘটতেও চলেছে তাই।
আগামী ২৭ মার্চ, শনিবার প্রথম দফায় পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরি, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর, এগরা, দাঁতন, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, কেশিয়াড়ি, খড়গপুর, গড়বেতা, শালবনি, মেদিনীপুর, বিনপুর, বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাঘমুন্ডি, জয়পুর, পুরুলিয়া, মানবাজার, কাশীপুর, পারা, রঘুনাথপুর, শালতোড়া, ছাতনা, রানিবাঁধ, রাইপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। তার আগেই রাজ্যে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন।