এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা লিখেছেন, তৃণমূলের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলাতে নিজের নাম দেখিয়া যারপরনাই পুলকিত হইলাম; ‘‘বড়লোকদের তালিকা’’-য় নিজের নাম দেখে বেশ গর্বও বোধ করিলাম কিন্তু তালিকার একদম নিচের দিকে এবং সর্বশেষ নাম হাওয়ায় কিঞ্চিৎ দুঃখও পাইলাম সঙ্গে ইহাও অনুধাবন করিলাম, গোমাতা-হরণকারী শ্রীঘরে যাওয়াতে তৃণু ভাইদের আঁতে খুব জোর আঘাত লাগিয়াছে, তাই শেষের দিকে হলেও তৃণু ভাইরা আমার নামটি তালিকাভুক্ত করিতে ভোলে নাই ৷ কিন্তু তৃণমূলীদের ধন্যবাদ জানাই এই সুযোগ করিয়া দেওয়ার জন্য - যাতে মহামান্য আদালত তথা মহামান্য জনসাধারণের নিকট তথ্য প্রমান সহ প্রমাণ করিতে পারি যে রাজনীতিতে পদার্পণ'-এর পর আমার সম্পত্তি আদৌ বৃদ্ধি পাইয়াছে নাকি উল্টে হ্রাস পাইয়াছে !!! সর্বশেষে তৃণমূলীদের কাছে একটাই আবদার, মামলা-শেষে মহামান্য আদালতের নিকট আমার যে সম্পত্তি হ্রাস পাইয়াছে এবং এক পয়সাও যে অবৈধ উপার্জন নাই- ইহা প্রমাণিত হওয়ার পর অনতিবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী-তহবিল বা ভাইপো-তহবিল বা পার্থ-তহবিল বা কেষ্ট-তহবিল বা সায়গল-তহবিল বা সুকন্যা-সমৃদ্ধি-যোজনা থেকে কিছু ক্ষতিপূরণ যেন আমাকে দেওয়া হয় !!!
advertisement
আরও পড়ুন- ৯২ বছরে প্রয়াত অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, শোকের ছায়া ময়দানে
অন্যদিকে শীলভদ্র দত্ত জানিয়েছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে কোনও তদন্তমূলক মামলাকে স্বাগত জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ভারতবর্ষ শুধু কেন, বিশ্বের যে কোন তদন্তকারী সংস্থা আমাকে নিয়ে যে কোনও রকমের তদন্ত করতে পারে ৷ জনপ্রতিনিধি ছিলাম, মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করেছি এবং এখনও করি... কাজেই আমি মানুষের কাছে, জনতার কাছে দায়বদ্ধ। তদন্তকে ভয় পাই না। আমি নিজেও জানি এবং জনগণও জানেন, শীলভদ্র দত্ত দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করে না। তাই তদন্ত হোক। তদন্ত থেকে নিজেকে বাঁচাতে আমি গিয়ে এসএসকেএম, এইমসে ভর্তি হব না, আর ইডিকে মামলা থেকে সরানোর জন্য হাইকোর্টে গিয়ে আবেদনও জানাব না।’’