বীরভূমে জমি তৈরি। তাও অনুব্রত ইস্যুতে কেন কোনও আন্দোলন নয়? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপির বীরভূম জেলা নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অনুপম হাজরা। বীরভূম কিম্বা বোলপুর সাংগঠনিক জেলায় যাঁরা পদে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরও উৎসাহ নেই। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে উৎসবের চেহারা। অথচ বীরভূমের বিজেপি নেতাদের একাংশ চুপ কেন?
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর রাইস মিলে ঢুকেই অবাক সিবিআই! যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের
দলের পদাধিকারীদের রীতিমতো নজিরবিহীন ভাবে তোপ দেগে অনুপম বললেন, 'আমি তথ্য নিয়ে কথা বলি। বীরভূম জেলার অনেক বিজেপি নেতারই তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে। সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের দয়াতেই অনেক বিজেপি নেতা দিনযাপন করছেন। বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে আগামী দিনে সেই সমস্ত নেতার নাম ফাঁস করে দেখে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অনুপম হাজরা। ফেসবুক লাইভে তিনি স্পষ্ট জানান,' ওই সমস্ত নেতাদের মাথায় যে দাদারই হাত থাকুক না কেন আমি চুপ করে বসে থাকব না'।
আরও পড়ুন: ফের নিশানায় শিশির অধিকারী, কোমর বাঁধছে তৃণমূল! তুমুল আলোড়ন
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বঙ্গ বিজেপি থেকে উঠে আসা বর্তমানে পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরার দাবি, ''অনুব্রত মণ্ডল একজন অত্যাচারী নেতা। তার জন্য আমাদের দলের অনেকের প্রাণ গেছে। কিন্তু আমায় খুব অবাক করেছে যে, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর আমি বোলপুরে গিয়েছিলাম। দলের নেতারা সবাই জানতেন। অথচ যাঁরা পদে বসে রয়েছেন তাঁরা কেউই কোনও আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা তো দূরে থাক, আমার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে আসেননি। অথচ পদে নেই এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় আমার সঙ্গে এসে দেখা করে নিজেদের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।''
অনুপম হাজরার কথায়,' বীরভূমের যারা সাংগঠনিক পদাধিকারী রয়েছেন তাঁদের উচিত ছিল, অনুব্রত ইস্যুতে বর্তমান সময়ে লাগাতার আন্দোলন সংগঠিত করে রাজনৈতিক ফসল ফলানো। এতে একদিকে যেমন সংগঠন শক্তিশালী হত। পাশাপাশি দলীয় কর্মী সমর্থকরাও ভরসা পেতেন। অথচ তাঁরা নীরব'। প্রসঙ্গত, যে সময় অনুপম হাজরা বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভ করেছেন তা ঠিক পরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে মিছিল সভা করে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা। তা নিয়েও ফেসবুক লাইভে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বকে অনুপম 'খোঁচা' দেন।
বলেন, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার এতদিন পর কেন আন্দোলন কর্মসূচি? অনুপম হাজরার কথায়,' বীরভূমের যারা সাংগঠনিক পদাধিকারী রয়েছেন তাঁদের উচিত ছিল, অনুব্রত ইস্যুতে বর্তমান সময়ে লাগাতার আন্দোলন সংগঠিত করে রাজনৈতিক ফসল ফলানো। এতে একদিকে যেমন সংগঠন শক্তিশালী হত। পাশাপাশি দলীয় কর্মী সমর্থকরাও ভরসা পেতেন। অথচ তাঁরা নীরব'। প্রসঙ্গত, যে সময় অনুপম হাজরা বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভ করেছেন তা ঠিক পরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে মিছিল সভা করে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা। তা নিয়েও ফেসবুক লাইভে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বকে অনুপম 'খোঁচা' দেন।
বলেন, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার এতদিন পর কেন আন্দোলন কর্মসূচি? বাইরে থেকে কোন নেতা আসবেন। তারপর কর্মসূচি পালন করা হবে। তা না করে অনেক আগেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলনে নামা উচিত ছিল'। যদিও অনুপম হাজরা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এক প্রকার এড়িয়ে গিয়ে বলেন,' উনি ঠিক কি বলেছেন জানিনা। ওঁর সঙ্গে কথা বলবো'। তবে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক দলেরই নেতাদের প্রতি যেভাবে চাঁচাছোলা ভাষায় নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন তাতে যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ পদ্ম নেতৃত্ব তা বলার অপেক্ষা রাখে না।