তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়কও। তাঁর প্রয়াণে সংস্কৃতি মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তায় লিখেছেন, “বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও সুরকার ড. অনুপ ঘোষালের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। নজরুলগীতি ছাড়াও তিনি বাংলা, হিন্দি-সহ অন্যান্য ভাষার চলচ্চিত্রে সংগীত পরিবেশন করেছেন।
advertisement
বিশ্ববরেণ্য চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্রে তাঁর গাওয়া গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ‘সাগিনা মাহাতো’ চলচ্চিত্রে তিনি সঙ্গীত পরিচালনাও করেন। তিনি ২০১১ সালে উত্তরপাড়ার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রান্না হয় বাংলাদেশে কিন্তু খেতে বসেন ভারতের মাটিতে, এ এক আজব বাড়ি
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে তাঁকে ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ ও ২০১৩ সালে ‘সংগীত মহাসম্মান’ পুরস্কারে ভূষিত করে। অনুপ ঘোষালের প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মনে করছে সঙ্গীত মহল। আমি অনুপ ঘোষালের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: শনিবার শিয়ালদহ থেকে বহু ট্রেন বাতিল! রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা, জেনে বাড়ি থেকে বেরোবেন
সঙ্গীতজগতের পাশাপাশি অনুপবাবু পা রেখেছিলেন রাজনীতিতেও। ২০১১ সালে তৃণমূলের হয়ে উত্তরপাড়া বিধানসভায় বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে ওই একবারই ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ২০১৬-য় তাঁর জায়গায় উত্তরপাড়ার বিধায়ক হন সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল। তিনি এদিন অনুপ ঘোষালের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর দ্য ওয়ালকে বলেন, “অনুপবাবু অত বড় শিল্পী ছিলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনও দূরত্ব তৈরি হতে দেননি। বিধায়ক থাকাকালে উত্তরপাড়ার মানুষের আপদে বিপদে পাশে দাঁড়াতেন।”