সূত্রের খবর, ২০ জুলাই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে সোমবার সভাস্থলে তাঁকে দেখা যায়নি। এরপরই ফেসবুকে কিছু ছবি পোস্ট করেন অনুব্রত, তা ঘিরেই বেড়েছে জল্পনা। কী বলছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির প্রধান কাজল শেখ?
advertisement
কাজল শেখ এদিন নিউজ 18 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “এত বড় মঞ্চ। এত মানুষ। এত সেলিব্রিটি। এত নেতা। সেখানে কে এল, কে গেল নজর করিনি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানেই উনি ডাকবেন আমি তো থাকবই। আপনাদের কাছে শুনলাম, উনি আসেননি। আমি দেখিনি কিছু। আমরা অনেকেই ছিলাম তো।”
একইসঙ্গে এদিন কাজল শেখ জানান ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগের আগাম প্রস্তুতিতে এবার বীরভূম জেলা থেকেই শুরু হবে দলের ভাষা আন্দোলন। তিনি বলেন, “আমাদের দলের সমস্ত নেতা-কর্মীরা হাজির থাকবেন এই উপলক্ষে।
প্রসঙ্গত, ২০ জুলাই বিকেলে ধর্মতলায় দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপরই কার্যত তিনি উধাও হয়ে যান। একুশের সমাবেশের মূল মঞ্চে কাজল শেখকে দেখা গেলেও, দেখা যায়নি বীরভূমের কেষ্টকে। আগের দিন বিকেলে সভাস্থল থেকে সেই যে উধাও হলেন, পরের দিন আর কোথাও দেখা গেল না বীরভূমের একদা বেতাজ বাদশাকে। তবে দিন শেষে রাতে দেখা গেল তাঁর ফেসবুক পোস্ট। আর সেই পোস্টে ছিল মমতা ও অভিষেকের একগুচ্ছ ছবি।
তিহাড় থেকে ফেরার পর বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। বীরভূমের আর সভাপতি হতে পারেননি অনুব্রত। এর মধ্যে আবার ফোনে কুকথা-কাণ্ড। পুলিশকে গালিগালাজ করার অভিযোগ। ক্ষমা প্রার্থনাও করেন কেষ্ট মণ্ডল। তারপর ২১ জুলাইতে তাঁর গরহাজির থাকা। সবমিলিয়ে কেষ্টর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দানা বাঁধছে তৃণমূলের অন্দরের মতোই বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে।