প্রসঙ্গত, গত বুধবার গরু পাচার মামলার তদন্তে বীরভূমের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি৷ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ী এবং নেতার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা৷ ইডি-র সঙ্গে যৌথ তল্লাশিতে সামিল হয়েছিল সিবিআই-ও৷ যাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডল৷ তাঁর বাড়ি, অফিস এবং পেট্রোল পাম্পে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি ও সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সেন্সর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের!
এরপরই সোমবার বেলা এগারোটায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে৷ গরু পাচার কাণ্ডে এর আগেও তাঁকে জেরা করছে ইডি৷ যদিও প্রত্যেকবারই তাঁকে জেরা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই ফের তলব করায় জল্পনা ছড়িয়েছে৷
আরও পড়ুন: জেলে ঢুকেই ফুলতে শুরু করেছে পার্থর পা! এবার কি তবে হাসপাতাল? ছড়াচ্ছে জল্পনা
গরু পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে পাঁচবার অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। পঞ্চম নোটিসের পর তিনি কলকাতায় আসেন। কিন্তু নিজাম প্যালেসের পর এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। এরপর তিনি যেদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান, তারপরেই ষষ্ঠ নোটিস পাঠায় সিবিআই। তখন হাজিরা দেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সেই জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়নি। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে যে ফের ডাকা হতে পারে, সেটা নাকি তাঁকে তখনই জানিয়েছিল সিবিআই। শুক্রবার সপ্তমবার 'কেষ্ট'কে তলব করলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তিনি যে সোমবার যেতে পারবেন না, তা রবিবারই সিবিআই-কে জানিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।