জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের সকালে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর আইনজীবী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা আরও স্পষ্ট করে শুনে অনুব্রত বলে ওঠেন, ''আমি জানতাম দিদি আমার পাশে দাঁড়াবে।'' অনেকেই বলছেন, গ্রেফতারির পর থেকেই একদম অচেনা হয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সংবাদমাধ্যমের সামনে যিনি সর্বক্ষণ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন, সেই তিনিই একদম চুপ করে গিয়েছিলেন। অবশেষে সোমবার থেকে ফের চনমনে 'কেষ্ট'।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলে এসএসকেএম-এর ৮ চিকিৎসক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে!
সূত্রের খবর, অনুব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা এদিন তাঁর মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে গেলে অনুব্রত বলেন, ''গতকাল আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেহালায় আমার সমর্থনে যা বলেছেন, তা কাম্য ছিল। আমি জানতাম দিদি আমার পাশে থাকবেন। আমি কোন অপরাধ করিনি। দিদি সেটা বুঝতে পেরেছেন। দিদি আমার সমর্থনে কথা বলায় আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আমি নিজেকে নিয়ে অনেকটাই স্বস্তি অনুভব করছি।''
আরও পড়ুন: হাসপাতালে এল ৮ ফোন, মুকেশ আম্বানি ও গোটা পরিবারের প্রাণনাশের হুমকি! তদন্তে পুলিশ
বস্তুত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখই খোলেননি মমতা। মন্ত্রিসভা থেকে পার্থকে সরিয়েও দিয়েছেন। রবিবার পার্থর বিধানসভা এলাকাতে গিয়ে পার্থ নয়, বরং সরাসরি অনুব্রতর পাশে দাঁড়ান মমতা। বলেন, ''আর কতজনকে গ্রেফতার করবে? আমি জেল ভরো আন্দোলেনের ডাক দেব৷ একটা কেষ্টকে ধরলে লক্ষ কেষ্ট আছে, কেষ্টরা ভয় পাবে না।"
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। একজন নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় ইডি’র হাতে ধৃত। আরেকজনকে গরু পাচারের মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দু’জনই তৃণমূল নেত্রীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী এবং বিশ্বস্ত অনুগামী। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৫ দিন সময় নিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর, ৫ দিন কেটে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি শাসকদল। উপরন্তু, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ED-CBI’কে কাজে লাগানোর অভিযোগে পথে নামে তৃণমূল। তখনই বীরভূমের দৌর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। রবিবার মমতা রীতিমতো ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে স্পষ্ট করে দেন, 'দিদি আছেন কেষ্টর পাশেই'। এরপর থেকেই আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন অনুব্রত মণ্ডল।