ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার অনুব্রত ও সুকন্যাকে। গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে নথি এসেছে, তার ভিত্তিতে তৃণমূল নেতা ও তাঁর মেয়েকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। কোথা থেকে অনুব্রত ও সুকন্যার এত সম্পত্তি এল, সে বিষয়ে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে, শুধু সুকন্যাকে এই সমস্ত প্রশ্ন করা হলেও তিনি সেগুলো জানি না বলে এড়িয়েই গিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'সব' বলে দেবেন অনুব্রত মণ্ডল? ইডির হাতে সুকন্যা-অস্ত্র! নয়া ছক তদন্তকারীদের
গরু পাচার মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে সুকন্যা মণ্ডলের বার্ষিক আয় চোখে পড়ার মতো। এমনকি করোনাকালে যখন মানুষ রোজগার হারিয়েছিল, সেই সময়ও তার বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি টাকা। সিবিআইয়ের তরফ থেকে ৩৫ পাতার যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতেই সুকন্যা মন্ডলের সম্পত্তি বৃদ্ধির গ্রাফ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: শনিবার রাত সাড়ে দশটা, তপসিয়ায় ঢুকল একটি নীল গাড়ি, তারপরই হাড়হিম গোটা এলাকার!
এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়েই সুকন্যাকে দফায় দফায় জেরা করছেন ইডি আধিকারিকরা। সেই জেরার মুখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সুকন্যা। ইডি অফিসারদের বলেন, ''আমি কিছু করিনি। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও তথ্য আমি দিতে পারব না। আমি বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলতে চাই। বাবার সঙ্গেও কথা বলতে চাই।'' বীরভূম থেকে বান্ধবী সুতপা পালকে সঙ্গে নিয়েই নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন সুকন্যা মণ্ডল। কিন্তু গ্রেফতার হতেই সুতপাকেও দেখা গিয়েছে ইডির সদর দফতরের সামনে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এখন সুকন্যাকে নিয়ে ইডি কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার।