প্রসঙ্গত, গত শনিবারও সকালে নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখান থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে পেশ করা হয়েছিল আসানসোল আদালতে। গরু পাচার-কাণ্ডে আসানসোল আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে ডাকেন 'বাবা', সেই বিদ্যুতের বাড়িতে হানা CBI-এর! হতে চলেছে বড় রহস্য ফাঁস?
advertisement
সিবিআই কাস্টডি-র বিরোধিতা করে আবেদনে বলা হয়েছিল '' অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি ভাল নয়, ওঁর বিভিন্ন রোগ আছে, সেই কারণেই উনি হাজিরা দিতে যেতে পারেনি। 'হেলথ কন্ডিশন গ্রাউন্ড'-টা বিবেচনা করা হোক! আমাদের তরফে সমস্ত মেডিক্যাল ডকুমেন্টস-ও সিবিআই-এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।'' তিনি আরও বলেন, '' এমন নয় যে হালে অসুস্থ হয়েছেন, বহুবছর ধরেই অনুব্রতর শারীরিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমরা সিএমআরআই রিপোর্ট-ও জমা দিয়েছি।'' কিন্তু তাতেও মেলেনি রেহাই। ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত অনুব্রতকে ফের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয় দেখিয়ে রোখা যাবে না তৃণমূলকে, পোস্টার পড়ল শহরের একাধিক জায়গায়
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠদের উপরেও নজর রেখেছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দিকেও বিশেষ নজর পড়েছে সিবিআইয়ের। তবে এর মধ্যেই নতুন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল আসলে একজন প্রাথমিক শিক্ষিকা। কিন্তু পাশাপাশি তিনি দুটো কোম্পানির ডিরেক্টরও। আর সেই দুটি কোম্পানির দ্বিতীয় ডিরেক্টর হলেন বিদ্যুৎবরণ গায়েন। যে ব্যক্তি ছিলেন বোলপুর পুরসভার গাড়ির খালাসি। সেখান থেকেই অনুব্রতর কোম্পানির ডিরেক্টর পদে উত্তরণ তাঁর।