সেই সূত্রেই তাঁরা জানতে পেরেছেন, শুধু নিজের নামে নয়, স্ত্রী মেয়ে ও ঘনিষ্ঠ একাধিক আত্মীয়র নামে সম্পত্তি করেছেন অনুব্রত। এমনকী এক মাসে দু-তিনটি জমি কিনেছেন তিনি। সেই বিষয়েই অনুব্রতকে জেরা করে চলেছেন সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, প্রায় প্রতিটি প্রশ্নেই চুপ থাকছেন ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা। মোদ্দা কথা, তদন্তে কোনও রকম সহযোগিতা করছেন না তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'পার্থর ৩০০ কোটি, অনুব্রতর ৫০০ কোটি...', বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের! তুমুল শোরগোল
এদিকে, সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর থেকে সংগ্রহ করা অডিও ক্লিপস, বয়ান রেকর্ড নিয়ে পরবর্তীকালে আদালতের কাছে পেশ করা হতে পারে। কারণ অনুব্রত মণ্ডল কতটা 'প্রভাবশালী' তা বোঝানোর জন্য ও তার জামিন নাকচ করার জন্য সিবিআই চিকিৎসকদের অডিও ক্লিপস ও বয়ান আদালতে পেশ করতে পারে।
আরও পড়ুন: গোটা বিশ্ব মুগ্ধ, দেশের গর্ব সেই চেনাব সেতুর কলকাতা যোগ! যাচ্ছে এইচ বিম
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই সিবিআই অফিসের গেস্ট রুমে শিফট করা হয়েছে। প্রথমে তাঁকে রাখা হয়েছিল সিবিআই অফিসের ডিও সেকশনের কাছে একটি রুমে। পরে গেস্ট রুমে শিফট করা হয় তাঁকে। সিবিআই হেফাজতেও অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন একজন পরিচিত 'কেয়ার টেকার' বা সর্বক্ষণের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই পরিচিত যখন অনুব্রতকে নেবুলাইজার পরাতে গেলে অনুব্রত জিগ্যেস করেন - "দলের মনোভাব কী? গ্রেফতারির পর কী বলছে? বাইরের রিঅ্যাকশন কেমন? তাঁরা কী বলছেন?"
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ সময়ই চুপ করে বসে ছিলেন অনুব্রত। গ্রেফতারির দিন রাতেই একটি ক্যাম্প খাট ,কম্বল দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। এরপর থেকেই গরু পাচারে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক ও ধৃত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গেলের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশিতে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেও জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু মুখে যেন কুলুপ এঁটেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।