বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ পরে তাঁকে আটক করা হয়৷ কিন্তু গ্রেফতারির পর থেকে অনুব্রত খাওয়া দাওয়া নিয়ে সেরকম বায়নাক্কা করেননি বলেই সিবিআই সূত্রে খবর৷
অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বিরাট বপু হলেও খাওয়া দাওয়ার প্রতি অনুব্রতর কোনওদিনই বিেশষ আসক্তি নেই৷ ঘনিষ্ঠ মহলে হাল্কা মেজাজেও তিনি বলতেন, মুড়ির সঙ্গে একটু ছোলার ডাল পেলেই তৃপ্তি করে খান তিনি৷ সুগার, প্রেসার, অর্শ্বের মতো শারীরিক সমস্যার জন্যও খাওয়া দাওয়ায় এমনিতেই রাশ টানতে হয়েছিল তাঁকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর বড়সড় কোনও শারীরিক সমস্যা নেই, কমান্ড হাসপাতালের ছাড়পত্র মিলতেই জেরা শুরু সিবিআই-এর
গ্রেফতারের পর অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই৷ শুক্রবার প্রায় ভোর রাতে তাঁকে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয়৷ এ দিন তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয় আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে৷
সিবিআই সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতার জন্য এ দিন বাইরে থেকে খাবার আনানো হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সমস্ত খাবার মুখে তোলেননি অনুব্রত৷ বরং খিদে পেলে সঙ্গে করে আনা মুড়ি খাচ্ছেন তিনি৷ শুধুমাত্র এ দিন দুপুরে সিবিআই দফতরের ক্যান্টিন থেকে আনা ভাত, ডাল, তরকারি খেয়েছেন অনুব্রত৷
আরও পড়ুন: পোড়ো বাড়ি মাস ঘুরতেই চোখ ধাঁধানো প্যালেস! শ্রাবণ সোমবার ছিল অনুব্রতর গৃহ প্রবেশ! চমকে ওঠা তথ্য
যদিও কয়েকদিন আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে উল্টো অভিজ্ঞতা হয়েছিল ইডি-র৷ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট না মেনে ইডি কর্তাদের পছন্দ মতো খাবারের ফিরিস্তি দিতেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ রুটির বদলে ভাতের প্রতি বেশি আকর্ষণ ছিল তাঁর৷ নিয়মে বাঁধা এক ঘেয়ে খাবার যে ভাল লাগছে না, বার বারই পার্থ তা নিয়ে অনুযোগ করেছেন বলেও খবর৷
এমন কি, প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পরেও খাওয়া নিয়ে পার্থর বায়নাক্কা যায়নি৷ জেল ক্যান্টিনে তেলেভাজা হচ্ছে খবর পেয়েই চপ, বেগুনি খাওয়ার জেদ ধরেন তিনি৷ ভোজন রসিক পার্থক রসনাতৃপ্তি করতে গিয়ে ইডি কর্তাদের যে হ্যাপা পোহাতে হয়েছে, অনুব্রতকে নিয়ে অন্তত সেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না সিবিআই-কে৷ তবে পার্থর মতো অনুব্রতও মুখে কুলুপ এঁটে তদন্তকারীদের আসল সমস্যা বাড়িয়ে তোলেন কি না, সেটাই এখন দেখার৷