এ দিন নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে বের করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে৷ সিবিআই দফতর থেকে বেরনোর সময় অনুব্রতকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যম৷ কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি তৃণমূল নেতা৷
আরও পড়ুন: এবার অনুব্রতর মেয়েকে জেরা, দু' একদিনের মধ্যেই বোলপুরের বাড়িতে যেতে পারে সিবিআই
advertisement
এর পর কম্যান্ড হাসপাতাল থেকে ফেরার সময়ও একই পরিস্থিতি তৈরি হয় নিজাম প্যালেসে৷ অনুব্রতকে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেয় সংবাদমাধ্যম৷ বিশেষত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে যে বার্তা দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়াও জানতে চাওয়া হয়৷ কিন্তু মুখ থেকে একটি কথাও বলেননি অনুব্রত৷ নিজাম প্যালেসে ঢোকানোর সময় অনুব্রতকে ঘিরে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং সিবিআই আধিকারিকরা৷ ধাক্কাধাক্কিতে একসময় ভিড়ের মধ্যে অনুব্রতর জুতো খুলে যায়৷ ভিড় আর ধাক্কাধাক্কিতে খুলে যাওয়া জুতো পরতে বেশ বেগ পেতে হয় ধৃত তৃণমূল নেতাকে৷ এতেই কিছুটা মেজাজ হারান তিনি৷ আগের মতোই কড়া দৃষ্টিতে সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়েও থাকতে দেখা যায় তাঁকে৷ মুখের সামনে থাকা সংবাদমাধ্যমের বুম সরিয়ে দিয়ে সটান ভিতরে ঢুকে যান তিনি৷
আরও পড়ুন: তুরুপের তাস হতে পারেন অর্পিতা, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তথ্য উদ্ধারে আলিপুর জেলে ইডি
তবে এ দিন দৃশ্যতই অনুব্রতকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী লেগেছে৷ গ্রেফতারের পর থেকে গত কয়েকদিন যখন তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে, তাতে অনেকটাই ম্রিয়মান এবং হতাশ লেগেছে অনুব্রতকে৷ সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন শোনার পর থেকেই অনুব্রতর শরীরী ভাষা বদলে গিয়েছে৷ সিবিআই জেরার সময়ও কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছেন না তিনি৷ তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে আজ৷
ইডি-র হাতে গ্রেফতারের পর মেডিক্যাল টেস্টে নিয়ে যাওয়া আসার পথে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তুলেছিলেন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ৷ কিন্তু দল তাঁর পাশে আছে, সম্ভবত তা বুঝতে পেরেই মৌনতা অবলম্বন করেছেন তৃণমূল নেতা৷