এখানেই শেষ নয়, ইডি সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, এই বিপুল সম্পত্তি কিনে তার বেশিরভাগেরই দাম মেটানো হয়েছিল নগদে। ওই সম্পত্তির মধ্যে বোলপুরের কালিকাপুর মৌজাতেই সিংহভাগ জমি রয়েছে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের কাছে কোথা থেকে এল সেই বিপুল পরিমাণ টাকা? তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভোলে ব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখে ছবি মণ্ডলের নামে কেনা হয়েছিল এই বিপুল জমি।
advertisement
তবে, অনুব্রতর নিজের নামেও জমি রয়েছে। ২০১৬ সালে নিজের নামে দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিলেন কেষ্ট। তবে, তাতেও ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দেখানো হয়েছে মাত্র ৮ লক্ষ টাকার।
আরও পড়ুন: অনুব্রত দিল্লিতে, বীরভূমের জন্য এবার মদন মিত্র? দলের কাছে বিরাট প্রস্তাব কামারহাটির বিধায়কের
সূত্রের খবর দুজন বাঙালি আধিকারিককে দিয়েই অনুব্রত মণ্ডলের গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। ইডির জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ায় ওই দুই বাঙালি অফিসারই মূলত জিজ্ঞাসাবাদ করছেন অনুব্রতকে। কারণ দিল্লির স্থানীয় আধিকারিকরা সেই ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছেন না ভাষাগত সমস্যার কারণে। কেষ্ট মণ্ডলের মুখে শুধু একই বোল। "মেঠো রাজনীতি করেছি বাংলার গ্রামের মানুষের স্বার্থে তাই যা বলার বাংলাতেই বলব। আমি হিন্দি জানি না, হিন্দি বুঝিও না।"
আরও পড়ুন: 'ফুরফুরার জন্য ভাবেন মমতা, তাই তপনে আস্থা', দুই মন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়েই চনমনে ত্বহা
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ছ' টায় আসানসোল জেল থেকে বেরিয়েছিলেন। এর পর কলকাতা হয়ে দিল্লির বিচারকের বাড়িতে শুনানি শেষে যখন ইডি-র লক আপে ঢোকানো হয় অনুব্রতকে, তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত দুটো পেরিয়েছে। যদিও তার আগে জোর সওয়াল হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে। অনুব্রতকে সুস্থ রাখতে বিচারকও বেশ কিছু আর্জি মেনে নিয়েছেন।