বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তলব অনুব্রতকে। গত ২ মে গৌরব সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে । সেই ঘটনায় অনুব্রতকে তৃতীয় নোটিশ দিল সিবিআই। মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় ইলামবাজার থানায়। পরিবারের অভিযোগ, গত ২ মে ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। গৌরব সরকার ও তাঁর ভাই প্রতিবাদ করলে ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় গৌরব সরকারের মৃত্যু হয়।
advertisement
এফআইআরে অনুব্রতর নাম না থাকলেও হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত ভার হাতে নেওয়ার পরই দুবার অনুব্রতকে নোটিশ পাঠায়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়ান বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। এরপর তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সব রক্ষা কবচ উঠে যাওয়ার পর শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে নিউটাউনে বাড়ি ফেরেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপরই ফের তৎপর হয় সিবিআই।
ফের এই ঘটনায় তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়। রবিবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। যদিও তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁয়ের দাবি, তিনি অসুস্থ ফলে চার সপ্তাহ রেস্টে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে ওঁর পক্ষে বাইরে কোথাও বেরোনো সম্ভব না। অন্যদিকে গরুপাচারের ঘটনায় ষষ্ঠ নোটিশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এর আগে পাঁচ বার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি হাজির হননি। শনিবার বিকালে সাড়ে ৫ টায় তাঁকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়। কিন্তু তিনি আসেননি। মেইল করে সিবিআইকে জানান, তাঁর শরীর খারাপ। তাই তিনি আসতে পারবেন না। হার্ট ব্লকেজ পাওয়া গিয়েছে। ফলে চার সপ্তাহ রেস্ট এর পরামর্শ চিকিৎসকদের। তাই তিনি সশরীরে হাজিরা দিতে পারবেন না। তাঁর আইনজীবী সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে এসে সিবিআইয়ের এসপি-র কাছে ওই চিঠির কপি হাতে দেন।
আরও পড়ুন: আবহাওয়া নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার খবর, বইবে তাপপ্রবাহ! আর বৃষ্টি? হাওয়া অফিস বলছে...
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতকে তলবের কারণ, জেরায় গরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হক সিবিআইকে জানিয়েছে, বীরভূমের মল্লিকবাজারে পশু হাট বাজারে কেনা বেচা চলত। বীরভূম পার হয়ে একাধিক জায়গায় গরু পাচার হত। তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের এলাকায় কীভাবে চলত গরু পাচার? কতদিন ধরে চলছিল? উনি কিছু জানতেন না? এনামুলের সঙ্গে অনুব্রতর যোগসাজসের অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। ফলে এর আগে পাঁচ বার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও তিনি হাজির হননি সিবিআই দফতরে। বার বার অসুস্থতার দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়ান বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। কিছু দিন আগে তিনি বীরভূম থেকে আসেন ঠিক। কিন্তু সোজা ভর্তি হন এসএসকেএম হাসপাতালে। তারপর দীর্ঘদিন পর ছুটি পান শুক্রবার রাতে। কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে আপাতত তিনি রয়েছেন। তবে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরই সিবিআইয়ের জোড়া নোটিসে জেরবার অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে কি! সেটা সময়ই উত্তর দেবে।