আরও পড়ুন North 24 Parganas News: মাটি খুঁড়তেই জ্বলে উঠল আগুনের শিখা! অশোকনগরে আবারও খনিজ তেল পেল ONGC
চার্জশিটে নাম থাকছে পাঁচ পুলিশ কর্মীর। নাম থাকছে আমতার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীর। আনিসের ঘটনা সম্পর্ক অবহিত ছিলেন তিনি, দাবি সিটের । এই ঘটনায় এক সিভিক ও এক হোমগার্ড গ্রেফতার হয়েছিল। পরে জামিনে মুক্তি পায় তাঁরা। চলতি বছরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আনিসের দেহ মেলে বাড়ির সামনে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার রাতে চার পুলিশ কর্মী আসেন। এরপর দরজা খোলেন আনিসের বাবা। কিন্তু অভিযোগ, এক পুলিশকর্মী তাঁকে বন্দুক ধরে রাখে। এর পর কয়েকজন পুলিশ কর্মী ঘরে জোর করে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যায়। কিছুক্ষণ পর আওয়াজ পাওয়া যায়। পুলিশ কর্মীরা নেমে এসে বেরিয়ে যান। আনিসের বাবার দাবি, বাড়ির দরজা সামনে রক্তাক্ত দেহ মেলে আনিসের। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
advertisement
অভিযোগ, পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে থানায় যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু দীর্ঘ ক্ষণ গ্রামে পড়েছিল দেহ। সেই অভিযোগে আনিসের পরিবার সিবিআই তদন্ত দাবি জানায়। কিন্তু রাজ্য সরকার সিট গঠন করার নির্দেশ দেন। এরপর সিটের অধিকারিকরা একাধিকবার ঘটনাস্থলে যান। বয়ান নেন পরিবারের। গ্রেফতার করে দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে। তারপরও তদন্তে আস্বস্ত হয়নি আনিসের বাবা সালেম খান। তিনি জানিয়েছিলেন, কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করা হোক। কিন্তু কোর্টে সিটের তদন্ততে আস্থা রাখে। শেষ পর্যন্ত হাই কোর্ট দ্রুত চার্জেশিট জমা দিতে নির্দেশে দেন সিটকে। সেই অনুসারে ১৪৪ দিনের মাথায় চার্জেশিট জমা দিলো সিট ।