সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কনসার্টে যে গান শোনা যাচ্ছে, তার লিরিক্স অনেকটা এই রকম, ‘‘ইলেকশনের মেজাজ বুঝে দলটা বড় করি’’, কিংবা ‘‘এটা শুনলে রেগে যাবে কুণাল ঘোষ’’। আবার ‘‘গয়না দোকান সব তুলে দাও গরুর দুধে সোনা’’ উল্লেখ করে ‘রোমান্টিক’ দিলীপ ঘোষের কথাও উঠে এসেছে এই গানে।
এখানেই থেমে থামে না, একদা ‘বাবার টাকায় গাড়ি কেনা শতরূপ ঘোষ’ বলে যে চর্চা চলেছিল সেকথা উল্লেখ করে মাথার টুপি লাইট জ্বালিয়ে স্টেজের ওপর থেকে গাইতে গাইতে এক গায়ক বললেন ‘টিভি চ্যানেল, পার্টি অফিস বড্ড হাঁটাহাঁটি তাই কিনেছেন গাড়ি। দামটা বেশি খুব, ফেসবুকেরই রাজা মোদের দাদা শতরূপ’।
advertisement
শুধু তাই নয় মোদির মেনশন নিয়ে টেনশনের কথাও উল্লেখ ছিল গানে৷ এরপরে আলো পড়ল কুণাল ঘোষের দিকে। গানের মধ্যে থেকে নিজের অংশটুকু তুলে ধরে কুণাল ঘোষ তাঁর ফেসবুকে লিখলেন, ‘অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যর নতুন ব্যান্ড ‘হুলি-গান-ইজম’ এর গানের অংশ। আমার মজা লেগেছে, ভাল লেগেছে। গানের ধরন, উপস্থাপনাও উপভোগ করলাম। একটু তির্যক? তাতে কী!! কুণাল ঘোষ এসব মজা নিতে জানে। ভাল থেকো অনির্বাণ’।
তবে বাকি দুই নেতা কিছু প্রতিক্রিয়া জানানি এর মধ্যে। যদিও দুই ঘোষের কথা নিজে বললেও তৃতীয় ঘোষের কথা নিজের মুখে উল্লেখ করেননি অনির্বাণ ভট্টাচার্য। শতরূপকে গানে বিঁধলেন (বাঁধলেন পড়ুন,) হুলি গান ইজমের অন্য আরেক গায়ক তথা অভিনেতা দেবরাজ ভট্টাচার্য। এই গান যাঁরা শুনেছেন, কুণালের ঘোষের মন্তব্য যাঁরা পড়েছেন সেসব নেটাগরিকদের একাংশ বলছেন গানে গানে তির্যক হলেও কুণালের প্রশংসা কুড়লেন অনির্বাণ। চুপ থাকলেন বাকি দুই ঘোষ।