শুনশান অলিগলি। পড়ে আছে ভাঙা কাঠামো। ছেঁড়াফাটা প্লাস্টিক বয়ে চলেছে ধ্বংসের নিশান। মাটির মূর্তি মাটিতেই মিশে গিয়েছে।
লকডাউনের আবহে অনেক স্টুডিও-র ঝাঁপ বন্ধ। দু-একটা বায়না পেয়ে একটু একটু করে গড়ে তুলছিলেন প্রতিমা। সর্বনাশা আমফানে থেমে গিয়েছে কুমারটুলির শ্বাস-প্রশ্বাস। লকডাউনে বিক্রিবাটা না হওয়ায়, আগামী বছরের অন্নপূর্ণা পুজোর জন্য প্রতিমা রাখাছিল। ঝড়ের ঝাপটায় সে সব ধুয়েমুছে সাফ। আর নতুন কাজে হাত দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না মৃৎশিল্পীরা।
advertisement
চাল উড়েছে। আমপান বিপর্যয়ে তোলপাড় স্টুডিও থেকে গুদাম। ঝড়জলে ভেসে গেছে প্রতিমার সারি। নাওয়া-খাওয়া ভুলে বাকি প্রতিমা বাঁচানোর চেষ্টায় মগ্ন শিল্পীরা।
লকডাউন আর আমফানের জোড়া ধাক্কায় দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন শিল্পীরা। দু-একটা বায়না পেলেও, কাজ শুরু করা কঠিন। বেশিরভাগ কারিগর দেশের বাড়িতে। ঝড়ের তাণ্ডবে চালচুলো হারিয়ে তারা এখন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
শিল্পীমন গ্রাস করেছে অজানা আতঙ্ক। আর কি আছে কুমারটুলির ভাগ্যে? ক্ষত-বিক্ষত মন নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শক্তিটুকু ক্রমশ কমে আসছে। শিল্পকাজ বাঁচিয়ে রাখতে প্রশাসনকে পাশে চায় কুমারটুলি।
অপেক্ষা রথযাত্রার ... যদি নতুন করে শুরু করা যায় ... কুমারটুলির মন বলছে এখন দুর্গাই সহায়। দেবীর আগমনে যেন রক্ষা পাবে মর্ত্য।