বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সদ্য নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীও। বিজেপি সূত্রে খবর, আলোচনা হয়েছে আরজি করে ধর্ষণ এবং খুন প্রসঙ্গও। এছাড়াও সংসদে কে বলবেন, কবে বলবেন তা ঠিক হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরে। সেই নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর । বিজেপি সূত্রে খবর, সংসদে অধিবেশন চলছে। তৃণমূলের সাংসদেরা সংসদের দুই কক্ষে বাংলার নানা বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হচ্ছেন। কখনও ‘ভাষা বিতর্ক’, আবার কখনও নির্বাচন এসআইআর নিয়ে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের সাংসদেরা। সেই সব প্রশ্নের পাল্টা জবাবে কী বলবেন বিজেপির সাংসদরা, তা বাতলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন– জাতীয় স্তরে বিশেষ নজর তৃণমূলের, লোকসভার দায়িত্ব পেয়ে কী বললেন অভিষেক?
এছাড়া সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, নিদের্শ দেওয়া হয়েছে দিল্লির তরফে জেলা কমিটি কিংবা রাজ্য কমিটি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে ১৫ অগাস্টের মধ্যে। কমিটি গঠন নিয়ে আর সময় নষ্ট নয়। যথাযথ কর্মঠ , একনিষ্ঠ , স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মী নিয়োগ করে শুরু করতে হবে কাজ। বুথ মণ্ডল স্তরে পৌঁছতে হবে নেতৃত্বকে। প্রত্যেকটি মানুষকে বোঝাতে হবে SIR-এর গুরুত্ব, ফলাফল, কারণ এবং পদ্ধতি। প্রয়োজনে প্রচার সভা কর্মসূচির পরিমাণ বাড়াতে হবে। শুধুমাত্র নিজের জেতা কেন্দ্র নয়, পার্শ্ববর্তী পরাজিত কেন্দ্রগুলিতেও এসআইআর বাংলা এবং বাঙালি ভাষা সংক্রান্ত বিষয়ে বিজেপির ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে প্রচার বাড়াতে হবে। বিজেপি সূত্রে খবর এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অমিত শাহ, বিএল সন্তোষ নাড্ডার মতো নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বে।
শুধুমাত্র শহরাঞ্চল কিংবা শহরতলি নয়, প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে প্রত্যেকটি বুথে নজর দিয়ে সেখানে শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে ৷ বিজেপি নেতৃত্বকে এমনটাই পরামর্শ নাড্ডার। বাংলা ভাষা, বাংলার জন্য বিজেপির করা কার্যক্রমে নথি তথ্য দরকার হলে বই আকারে প্রকাশ করুন, পৌঁছে দিন ঘরে ঘরে- টোটকা নাড্ডার । ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন এ রাজ্যে বিজেপির সুযোগ শক্তি প্রদর্শনের সেখানে মোদি মডেলকে সামনে রেখে প্রচারের ক্ষেত্রে আর সময় নষ্ট নয় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে নির্বাচনের লক্ষ্যে ৷ এমনটাই বার্তা অমিত শাহের।