মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য শহরে আসছেন অমিত শাহ৷ রাজনীতির কারবারিদের মতে, আসলে বুধবারের এই মঞ্চ থেকেই বঙ্গে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়ে যেতে চান এই পোড় খাওয়া রাজনীতিক৷ সব প্রস্তুতিই ইতিমধ্যে সারা। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন দিক থেকে কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করেছেন বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থক। তৈরি হয়ে গিয়েছে, ৬০ ফুট দীর্ঘ মঞ্চ৷ ঠিক ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই।
advertisement
বঙ্গ বিজেপির দাবি, এদিনের সমাবেশে যোগ দিতে চলেছেন অন্তত ৩ লক্ষ মানুষ৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্য শোনার জন্য জেলায় জেলায় হচ্ছে সভা৷ বুধবার কর্মীদের কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য বিজেপির তরফে একাধিক ট্রেনও ভাড়া করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ পাশাপাশি, জেলা থেকে বাসেও আসছেন বহু সমর্থক৷
এছাড়াও, জানা গিয়েছে, এদিনের সমাবেশে একের পর চমক রাখছে বিজেপি৷ ধর্মতলার মঞ্চের ঠিক পাশেই রাখা হচ্ছে ‘বঞ্চনা ভাণ্ডার’ অর্থাৎ, ড্রপ বক্স৷ যেখানে নিজেদের বঞ্চনার কথা লিখে রেখে যেতে পারবেন সমর্থকেরা৷ অন্যদিকে, মঞ্চের বক্তাদের মধ্যেও রাখা হচ্ছে চমক৷ জানা গিয়েছে, শুভেন্দু কিংবা সুকান্ত নন, এদিনের সমাবেশের প্রথম বক্তা শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি৷ প্রথম বক্তার সম্মান দেওয়া হয়েছে এই তফশিলি বিধায়ককে৷
আসলে, বক্তাদের তালিকায় ভারসাম্যের রাজনীতি তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি৷ তালিকায় যেমন রয়েছেন আদিবাসী নেতা, তেমনই জনজাতির বক্তারা৷ বক্তৃতা করার কথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও৷
দুপুর ১ টায় কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে চলেছে অমিত শাহের বিমান৷ সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তারপর সেখান থেকে শাহকে সঙ্গে নিয়ে কপ্টারে করে রওনা দেবেন রেসকোর্সের উদ্দেশে৷ তারপরে সেখান থেকে সড়কপথে সভাস্থলে৷ ফের বিকেল ৩ টা নাগাদ সভা শেষ করে রেসকোর্সের দিকে রওনা দেওয়ার কথা শাহের৷
বিজেপির বঞ্চনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কলকাতাকে৷ পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন সভাস্থলে আশপাশে মোতায়েন করা হচ্ছে অন্তত ১০০০ পুলিশকর্মী৷ থাকছেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারাও৷ আশপাশের বহুতলেও মোতায়েন থাকবে পুলিশ। মোট ৬ টি জোনে ভাগ করা হচ্ছে নিরাপত্তা। প্রতিটি জোনে ১ জন করে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। থাকবেন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার একজন অফিসার, ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার ৬ জন অফিসার।
আরও পড়ুন: র্যাট হোল মাইনার্স-এর কামাল! উত্তরকাশীর টানেল থেকে বেরিয়ে এলেন শ্রমিকরা
অন্যদিকে, সভাকে কেন্দ্র করে কিছু যানজটের সমস্যা যাতে তৈরি না হয়, সেদিকেও নজর দিচ্ছে প্রশাসন৷ সূত্রের খবর, হিন্দ সিনেমার সামনে থেকে এস এস ব্যানার্জি রোড ধরে একটি মিছিল যাবে ধর্মতলার দিকে। মিছিল যাবে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকেও। বিভিন্ন জেলা থেকে যাঁরা ট্রেনে করে কলকাতায় আসবেন, তাঁরাই থাকবেন সেই সব মিছিলে।
এছাড়া, হাওড়া থেকে হাওড়া ব্রিজ ধরে পোদ্দার কোর্টের পাশ দিয়ে গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ হয়ে সভা মঞ্চের দিকে যাবেন কর্মী-সমর্থকেরা। আর শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মৌলালি হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে এগিয়ে যাবে আরও মিছিল। এজেসি বোস রোড, এপিসি রোড, বিবি গাঙ্গুলি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, রেড রোড, স্ট্রিট রোড খোলা থাকবে সাধারণের যাতায়াতের জন্য। এছাড়াও, যে সমস্ত রাস্তায় সমর্থকদের ভিড় বেশি থাকবে, সেই সময় অবস্থা বুঝে বন্ধ করে দেওয়া হবে রাস্তা। যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F