টার্গেট বেঙ্গল। লক্ষ ২০১৯। নির্মূল হবে ঘাসফুল। সবচেয়ে বেশি আসন পাবে বিজেপি। হয়ে উঠবে বাংলার সবচেয়ে বড় দল। বাংলায় ফুটবে পদ্ম। সেই লক্ষেই এগোচ্ছে মিশন বেঙ্গল। ফের বিজেপির টার্গেট স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে উন্নয়ন, দুর্নীতি ইস্যুতে আবারও শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। বললেন, তৃণমূল রাজত্বে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ। চালু শুধুমাত্র বোমা তৈরির কারখানা। সংগঠনের জোরেই বিজেপি এতদূরে পৌঁছেছে ৷ বিশ্বের বৃহত্তম দল এখন বিজেপি ৷ মোদির বিজয়রথ পশ্চিমবঙ্গেও পৌঁছবে ৷’
advertisement
বাংলার অবস্থা চিন্তাজনক, ২০১৯ সালেই তৃণমূল নির্মূল হবে: কটাক্ষ অমিতের
ভুবনেশ্বরে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকেই তৈরি হয়ে গেছিল মিশন বাংলার রোডম্যাপ। টার্গেট ২০১৯। এ-রাজ্যের মসনদ দখল। সেই লক্ষে রাজ্যে বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠন বাড়াতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সফর। নকশালবাড়ির পর বুধবার কলকাতায় আরও আক্রমণাত্মক বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
‘বাম নয়, বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন মমতা ৷ সব কা সাথ, সব কা বিকাশ ৷ এটাই বিজেপির মন্ত্র ৷ কারও সঙ্গে কোনও অন্যায় হবে না ৷ সবাইকে নিয়েই চলবে বিজেপি ৷ যতক্ষণ না বাংলার মাটিতে বিজেপি আসছে ৷ ততক্ষণ পর্যন্ত মিশন সম্পূর্ণ নয় ৷’ ভবানীপুরে বললেন অমিত শাহ ৷
ষড়যন্ত্র নয়। দুর্নীতি। ক্যামেরার সামনে ঘুঁষ নিতে দেখা গেছে তৃণমূলের নেতাদের। দুর্নীতি প্রশ্নে ফের শাসকদলকে বিঁধলেন বিজেপি সভাপতি ।
আক্রমণ শানালেও, অস্ত্র মিছিল নিয়ে সাবধানী অমিত শাহ। বললেন, এরকম ঘটনা ঘটলে তদন্ত হবে। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন , এ রাজ্যে বাঘকে দাঁত ফোটাতে দেবেন না । শুধু দাঁত ফোটানোই নয়। বুধবার সরাসরি আক্রমণের রাস্তায় নেমে অমিত শাহ বুঝিয়ে দিলেন, মিশন বেঙ্গল এখন আর শুধু কথার কথা নয়। দলের ফিক্সড টার্গেট।