এদিন নবান্নে, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠক শেষে অমিত মিত্র বলেন, "কেওয়াইসি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষকে এভাবে কেওয়াইসি নিয়ে হয়রান করা যাবে না। লাইফ সার্টিফিকেট ফর পেনশন প্রতি বছর দিতে হয়। বয়স্ক মহিলারা কি করে ব্যাংকে যাবেন? তাই আমরা বলেছি ডোর স্টেপে ব্যাঙ্কিং করতে।"
advertisement
আরও পড়ুন- আজ রানাঘাটে মমতা-অভিষেকের পাল্টা সভা শুভেন্দুর, কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?
অমিত মিত্র প্রশ্ন তোলেন, ব্য়াঙ্কের প্রতিনিধিরা কেন প্রবীণ গ্রাহকদের বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন না? তিনি জানান, ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের কাছে তিনি অনুরোধ রেখেছেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। তাঁর মতে, এমন সিদ্ধান্ত হলে, তা অত্যন্ত বড় সিদ্ধান্ত হবে, পরবর্তীকালে অন্য রাজ্যও এই নীতি অনুসরণ করবেন বলে মনে করেন অমিত।
তবে এ দিন ডিএ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অমিত, চন্দ্রিমার মধ্যে কেউই। তাঁরা জানান, বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন, তাই এ নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করবেন না।
আরও পড়ুন- ওমিক্রনের BF.7 ভ্যারিয়্যান্ট ভয়ঙ্কর সংক্রামক! করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশকে 'দুই' পরামর্শ মোদির
এদিন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চেপে রাখেননি অমিত। তিনি বলেন, "অনেক বাধা বিঘ্ন এড়িয়ে ব্যাঙ্ক প্রায় ৩৭,৭৮২ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ধার পাওয়া গেছে। ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা ধার দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু বাতিলের সংখ্যা অনেক বেশি। ২১ হাজার জনের স্টুডেন্ট কার্ড তো অবিলম্বে দেওয়া উচিত।"
অমিত মিত্রের দাবি, ওই আবেদনকারীদের যাবতীয় নথিপত্র রয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ২১ হাজার জনকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মোট ৮২ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন হওয়ার কথা।