বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আরও বলেন,"জমির মিউটেশন ২০০৬ সালে হয়। জমিটির মিউটেশন বাবদ প্রতি বিঘাতে কর অনুযায়ী ১৮৯৪০ রাজ্যকে দিয়েছেন। টাকা ১২৫ এর সঙ্গে যোগ করলে সেই টাকাটা আসছে। ৩৩ ডেসিমেল এ অনুযায়ী এক বিঘা। যদি অমর্ত্য সেনের কাছে সেই জমিটা থাকতো তাহলে উনি ১৩৮ ডেসিমেল এর কর দিতেন। কিন্তু তিনি তো সেটা দেননি। তাই উনি ভাল করে জানতেন যে ওনার কতটা জমি আছে। ২০০৬ সালে জমিটার ট্রান্সফার হয়। তখন সেই ডকুমেন্ট আমরা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিই।"
advertisement
উপাচার্যের দাবি, "গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যে ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন সেখানে কোথাও অমর্ত্য সেনের নাম আছে? সবটাই আছে আশুতোষ সেনের নামে। ১৯৪৩ সালের নথি। সেই সময়কার নথি প্রাসঙ্গিক নয়। অমর্ত্য সেন আশুতোষ সেনের উত্তরাধিকার হওয়ার জন্য সেই জমিটা পেয়েছেন। জানি না মুখ্যমন্ত্রী কী করে বলছেন জমিটা অমর্ত্য সেনের নামে আছে? সরকারের সব তথ্য ভুল। জমিটা কিন্তু আমাদের। জমিটা রাজ্যের নয়। রাজ্য বলছে জমিটা ল্যান্ড ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জমিটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিনেছিলেন।
আরও পড়ুন: আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬.৫ শতাংশ, অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি নির্মলার
১০০ একরের জমি গুরুদেব কিনেছিলেন ও প্রত্যেককে লিজ দিয়েছিলেন। সরকারি নথিপত্র যে দেখানো হয়েছে সেটা পুরনো নথিপত্র। সেটার আজ প্রাসঙ্গিক নয়। ২০০৬ সালের মিউটেশন অনুযায়ী জমিটা অমর্ত্য সেনের নামে ট্রান্সফার হওয়ার কথা। কিন্তু সেই ডেটা আমরা পাচ্ছি না।আমার মনে হয় এখানে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল বোঝাচ্ছেন। তার কারণ সিএম যেটা শুনতে ভালোবাসেন সেটাই ওনাকে শোনানো হচ্ছে। সমাধানটা খুব সহজ। যদি আপনি মনে করেন আপনার জমি তাহলে জমি জরিপ করে নিন। তাহলেই তো বোঝা যাবে কতটা জমি ওঁর কাছে আছে? তাহলেই বোঝা যাবে। আজ কেন উনি ১.৩৮ কেন দাবি করছেন? তাই আজ জমিটা মাপা দরকার। কেন উনি দাবি করছেন? অধ্যাপক সেনের নামে আমরা কনফিডেন্ট বিশ্বভারতীর ওই জমিটা কব্জা হয়েছে। কব্জা জমিকে উদ্ধার করার জন্য আমার নৈতিক দ্বায়িত্ব সেটাই আমি করে যাব। তাই আমি যে অবস্থানে ছিলাম সেখানেই অনড় আছি। আমি অধ্যাপক সেনকে সম্মান করি, ওনার কান্ট্রিবিউশনকে সম্মান করি। মুখ্যমন্ত্রীকে বলব বিশ্বভারতীকে রক্ষা করুন। অমর্ত্য সেন কে কেন z+ category দেওয়া হল? আমার তো হাসি পাচ্ছে। তবে উনি মুখ্যমন্ত্রী যা খুশি করতে পারেন।"