TRENDING:

কলকাতার মাদক সাম্রাজ্যের দখল নিতে চেয়েছিল 'সমাজসেবী' জয়দেব

Last Updated:

পুলিশ বলছে, কলকাতার মাদক চক্রের অন্যতম চাঁই এই জয়দেব দাস। এটাই তার কাজের ধরন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Sujay Pal
advertisement

#কলকাতা: কারও মেয়ের বিয়ে দেওয়ায় টাকা নেই, কিংবা বাচ্চার বই কিনে দিতে পারছেন না বাবা। কেউ কষ্টে আছে শুনলেই জয়দেবেরও যেন মন কেঁদে উঠতো। এসব শুনলেই সবার আগে এগিয়ে আসত। মানুষের সাহায্য করতে বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্তও ছিল। এসব করেই নিজের নামের আগে 'সমাজসেবী' তকমা জুটিয়েছিল জয়দেব। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জয়দেবের এটাই ছিল পরিচয়। কিন্তু রাতে তার যে দিকটা সকলের সামনে এল তা অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে পারছেন না।

advertisement

পুলিশ বলছে, কলকাতার মাদক চক্রের অন্যতম চাঁই এই জয়দেব দাস। এটাই তার কাজের ধরন। দিনের আলোয় সমাজসেবা, রাতের অন্ধকারে মাদক পাচার শহরের বিভিন্ন জায়গায়। সম্প্রতি 'নেতা' হওয়ার স্বপ্নটাও তার মাথায় চেপেছিল। শেষ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে শুরু করে নেতাদের সাথে ছবি তোলা কিছুই বাদ দিচ্ছিলনা। পুলিশি জেরায় জয়দেবের দাবি, সবই নিজের প্রভাব বাড়িয়ে মাদকের ব্যবসায় কলকাতার বাজার নিজের দখলে রাখার জন্য।

advertisement

লোকে বলে ব্যবসা বাড়লেই শত্রুও বাড়ে। তাই শত্রু নজর থেকে বাঁচতে নিজের জন্য সর্বক্ষণের দুজন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীও নিয়োগ করেছিল। কিন্তু তাঁর 'বড়' হওয়ার স্বপ্ন বানচাল করে দিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশের রাডারে ছিল জয়দেব। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার বেলেঘাটা থেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে এক কেজির বেশি চরস পাওয়া যায়। পুলিশের কাছে খবর ছিল তার বাড়িতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ গাঁজাও। সেইমতো ট্যাংরার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ কিন্তু সেখানে গিয়েই বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।

advertisement

বাড়ির গেট খুলতেই পুলিশ অফিসাররা দেখেন গেটের মুখে দাঁড়িয়ে হিংস্র দুটি বিদেশি কুকুর। যারা বাড়ির পোষ্য হলেও বুধবার রাতে তাদের কাজ ছিল পুলিশকে কামড়ে তাড়ানো। প্রথমে এই উদ্দেশ্যে সফল হয়েছিল জয়দেব দাসের পরিবার। হিংস্র কুকুর চিৎকার করে তেড়ে আসায় জয়দেবের বাড়ি ঢুকতে ভয় পেয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ বাইরে থেকেই জয়দেবের পোষ্যদের শান্ত করার চেষ্টা হয়। কিন্তু না পেরে ডাকা হয় ডগ স্কোয়াডের তিন 'হ্যান্ডলার'কে। যারা কিনা ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সামলানো 'গার্ড-ডগ' সামলান।

advertisement

ডগ স্কোয়াডের কর্মীরা এসে, জয়দেবের বাড়ির একটি ডোভারমান ও একটি রোটউইলারকে কাবু করে বাড়িতে ঢোকেন। শুরু হয় তল্লাশি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ডোভারমানটি ডগ স্কোয়াডের কনস্টেবল অমিত মন্ডলের উপর চড়াও হয়। দু হাত সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আছড়ে-কামড়ে একাকার করে। কুকুরের কামড়ে গুরুতর জখম তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, কুকুরদুটিকে শান্ত করে তাদের তুলে দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

এই ঘটনায় জয়দেবের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একটি মাদক পাচারের। অন্যটি পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার। গ্রেফতার করা হয়েছে জয়দেবের স্ত্রীকেও। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার এই সাম্রাজ্যে আর কারা কারা জড়িত তাদেরও খোঁজ চলছে।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কলকাতার মাদক সাম্রাজ্যের দখল নিতে চেয়েছিল 'সমাজসেবী' জয়দেব