রাজ্যের ৭ পুরসভায় ভোটের গেজেট নোটিফিকেশন এখনও বেরোয়নি। তবে তার আগেই নাকি ভোটের মুখে থাকা পুরসভাগুলিতে জারি হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। বেনজির এই কান্ড ঘটিয়েই আপাতত বেকায়দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। শুধু তাই নয়, ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রেও একাধিক আইন ভাঙার অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে।
৭ এপ্রিল ৭ পুরসভায় ভোট নিয়ে প্রেস বিবৃতি জারি কমিশনের ৷ প্রেস বিবৃতিতেই সংশ্লিষ্ট ৭ পুর এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি চালুর ঘোষণা করে কমিশন ৷ নির্বাচনী আইনে এমনটা করার সুযোগ নেই ৷ রাজ্য সরকার গেজেট নোটিফিকেশন জারি করার পরই নির্বাচনী আচরণবিধি চালুর ঘোষণা করতে পারে কমিশন ৷
advertisement
ভোটের নির্ঘন্ট নিয়েও আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে কমিশনের বিরুদ্ধে।
১৩ এপ্রিল সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোটের নির্ঘন্ট জানানোর কথা কমিশনের ৷ অথচ ১৭ এপ্রিলের আগে ভোটের গেজেট নোটিফিকেশন জারির সম্ভাবনা কম ৷ নোটিফিকেশনের আগে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশেরও নজির নেই ৷
সোমবার সর্বদল বৈঠকে বিরোধীদের এইসব অভিযোগের কোনও জবাবই ছিল না কমিশনের কাছে। বৈঠকে কমিশনের পদ্ধতিগত ভুলের দিকে আঙুল তোলে শাসকদলও। তর্কাতর্কিতে সর্বদল বৈঠক পণ্ড হওয়ার যোগাড় হলে হস্তক্ষেপ করেন তৃণণূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি। সুব্রত বক্সী নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।
নির্বাচনী আইন বিশেষজ্ঞদের দাবি, কমিশন যেভাবে আচরণবিধি চালুর কথা বলেছে তার আইনি ভিত্তি নেই। প্রয়োজনে পুরনো বিবৃতি বাতিল করে নতুন বিবৃতি জারি করতে হবে কমিশনকে। সেক্ষেত্রে তৈরি হতে পারে নতুন জটিলতা। পুরভোট করাতে নেমে রাজ্য কমিশনারের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না বিরোধীরা। সর্বদল বৈঠকেই তাঁর মাথার ওপর প্রশাসনিক আধিকারিক বসিয়ে ভোট করানোর দাবি ওঠে।