আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) কোনও যোগ নেই বলে স্পষ্ট জানায় শাসকদল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, ২০১৮ সালের পর থেকে দলের সঙ্গে কোনও যোগ নেই ওই অভিযুক্ত ছাত্রনেতার। এমনকি সে কোনওদিন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ছাত্র ইউনিটের সভাপতি ছিল না বলেও জানিয়ে দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। অন্যদিকে বিরোধীরাও চরম তোপ দেগেছে এই ঘটনায়।
advertisement
বামেদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, "আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও, অপকর্মের প্রতিবাদ, হস্টেল ইত্যাদির দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। আমি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। কিন্তু এক্ষেত্রে উপাচার্যকে যেভাবে হেনস্তা করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।" তাঁর জোরালো প্রশ্ন, "এরা ছাত্র থেকে মস্তান নাকি মস্তান থেকে ছাত্র? তৃণমূল এই দায় এড়াতে পারে না। এরা শুরু থেকে তৃণমূল করে আসছে। এরা সব বোরে। এর কথায় বোঝা যাচ্ছে আগেও এরকম ঘটেছে।
অন্যদিকে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় দাবি করেন, "ভিডিও বাইরে বেরিয়েছে বলেই গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" তাঁর প্রশ্ন ভিডিও ভাইরাল না হলে কী হতো? একইসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "শিক্ষাঙ্গনে এমন নৈরাজ্য অভাবনীয়।সাংবিধানিক উপায় থাকলে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইতাম।"
আরও পড়ুন : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই, জানাল তৃণমূল কংগ্রেস
তৃণমূলের (Trinomool Congress) পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষ বলেন, "গোটাটাই তৃণমূলকে ফাঁসানোর গেমপ্ল্যান। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিও করে তা ভাইরাল করা হয়েছে।" সবমিলিয়ে তোপ পাল্টা তোপে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
আলিয়াকাণ্ডে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। আগামিকাল দুপুর ১টায় মুখ্যসচিবকে এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। ‘ভাইরাল ভিডিওয় অত্যন্ত উদ্বেগের ছবির প্রতিফলন। দুর্বৃত্তকারীরা যেভাবে আইন লঙ্ঘন করছে, তা ভয়ঙ্কর’, উপাচার্যকে হেনস্থার ভাইরাল ভিডিও ট্যুইট করে এমনটাই প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের।