ফলে ফরেন লিকার প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের লাইসেন্স বদল করতে পারবে। এর জন্য বিধিতে ‘কান্ট্রি স্পিরিট’-এর সংজ্ঞা বদল ‘ইন্ডিয়া মেড লিকার’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানোর পাশাপাশি কত দাম বাড়তে পারে সেই সংক্রান্ত তালিকায় পাঠানো হয়েছে। দেশি মদের নয়া দাম ৬০০ mL-এর হতে চলেছে ১৫৫ টাকা,৩৭৫mL- এর দাম হতে চলেছে ১০৫ টাকা, ৩০০mL এর দাম হবে ৮৫ টাকা ও ১৮০ ml-এর দাম হবে ৫০ টাকা। সর্বাধিক ২০ শতাংশ দাম বাড়তে চলেছে বলে জানা গেছে।
advertisement
প্রসঙ্গত গত বছর পুজোর উৎসবে রেকর্ড বিক্রি হয়েছিল মদের। ৬০০ কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করেছিল পুজোর মরশুমে রাজ্যের আবগারি দফতর মদ বিক্রি করে। যদিও এবারের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রাজ্যে দেশি মদ বিক্রি তুলনামূলক উৎপাদন কমানো হয়েছে বলেই দাবি করছেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। তার জন্য ইতিমধ্যেই আইনের সংশোধন এনেছে রাজ্যের আবগারি দফতর।
অন্যদিকে মঙ্গলবারই আবগারি কমিশনার বেআইনি চোলাই মদ বিক্রির বন্ধে পুলিশ ও আবগারি দফতরকে যৌথ অভিযানে নামার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। কারণ বেআইনি মদ বিক্রির সঙ্গে রাজ্য সরকারের রাজস্ব লোকসানের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়। সম্প্রতি বেআইনি বিষ চোলাই মদ থেকে কয়েকটি জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুজোর আগেই দেশি মদের দাম বাড়ার ফলে এই ঘটনা বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা রয়েছে। যদিও সরকারি নির্দেশিকায় ফরেন লিকার উৎপাদনে লাইসেন্স থাকা উৎপাদক সংস্থাগুলিকে নয়া ‘ইন্ডিয়া মেড লিকার’ লাইসেন্স নেওয়ার জন্য উৎসহিত করা হয়েছে। এক লক্ষ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিয়ে এই লাইসেন্স নেওয়া যাবে ৷