আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই যুদ্ধে যে একা নন, তা এতদিন বারংবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে সামনে রেখে কার্যত নতু যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারও তিনি একই ভাবে পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। বলেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টা এখন ক্লোজড চ্যাপ্টার। উনি অবসর নিয়ে নিয়েছেন। ওঁর পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। ঠিক কী রকম এই পাশে থাকা? সূত্রের খবর, আলাপন ব্যক্তিগত উত্তর যেমন দেবেন প্রশাসনিক ভাবেও এই চিঠির উত্তর দেওয়া হবে। উত্তর দেবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
advertisement
প্রসঙ্গত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এই দড়িটানাটানিতে ক্ষুব্ধ আইপিএস মহলও। ট্যুইটারে ৪৮ ঘণ্টার বেশি ট্রেন্ডিং মোদি এগেইনস্ট আইএএস-আইপিএস। ক্ষোভ চেপে রাখেননি প্রাক্তন আমলা তথা প্রসারভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকারও। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, এমনটা করা যায় না। আলাপনবাবু তো দিল্লিতে কাজই করেননি। তাঁকে তিনমাসের জন্য চেয়েছিল রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়েই। তারপর এই ভাবে ডেকে নেওয়া যায় না।
এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে ২৮ মে কলাইকুণ্ডা বৈঠক। রাজ্যের দাবি সেই বৈঠকে পৌঁছনোর জন্য় হেলিকপ্টার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে ছাড়ে ২০ মিনিট দেরি করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পরেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিঘায় অন্য একটি বৈঠক পূর্বনির্ধারিত ছিল, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট দিয়েই বেরিয়ে আসেন। পরে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনকে সামনে রেখে শো কজ পাঠানো হয়। কিন্তু রাজ্যের বক্তব্য বৈঠকটি যে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় ডাকা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী যে এনডিএমএ- চেয়ারম্যান হিসেবে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন তা উল্লেখ ছিল না আমন্ত্রণে। এই যুক্তিই কি আজ যাবে জোড়া পত্রে ? জানতে অপেক্ষা আর কিছুক্ষণ।
-ইনপুট সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়।