অখিলেশ মমতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এসেছি। এসে দেখছি এত মানুষ! দলনেত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। উপস্থিত তৃণমূল নেতারা, এবং সমস্ত কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে আমার শুভেচ্ছা। যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাই। দুঃখে চোখের জলে ভাসলে হবে না, আমাদের মাথা উঁচু করে রাখতে হবে। সব পার্টির এমন সৌভাগ্য হয় না এমন প্রাণ উৎসর্গ করা কর্মী মেলে না। দলের জন্য প্রাণ দিতে পারেন এমন কর্মী সব দল পায় না। এ হল দিদির সৌভাগ্য। কর্মীরাই ভিত্তি দলের।”
advertisement
এর পরই অখিলেশ স্মৃতি বেয়ে ফিরে যান মমতার সংগ্রামের দিনে। মমতার সেই সব দিন কাছ থেকে দেখেছিলেন বলে জানান অখিলেশ। তাই মমতার ক্ষমতা সম্পর্কে তিনি সচেতন। দলের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনাদের গর্ব করার মতো নেত্রী”।
এর পরই অখিলেশ দিল্লির ষড়যন্ত্রের কথায় চলে যান। জানান, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলছে। ষড়যন্ত্র চলছে তৃণমূলকে সরানোর। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস, মমতার ক্ষমতা আছে আটকানোর।
তিনি আরও বলেন, “দিল্লির সরকার বেশি দিন টিকবে না। পড়ে যাবে। এরা দিদির পেছনে পড়েছে। কিন্তু বেশি দিন পারবে না। বাংলা মোকাবিলা করবে নিজেরাই। ”
ঘড়ির কাঁটা যখন ১টা বেজে ৯ মিনিট তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে পৌঁছলেন সমাবেশে। সঙ্গেই ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তৃণমূল সুপ্রিমোর আমন্ত্রণে যথা সময়েই দেখা মিলল অখিলেশের। সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা মমতার বাড়িতেই যাওয়ার কথা ছিল অখিলেশের। সেখানেই বৈঠকের পর অখিলেশকে নিয়ে মমতা আসেন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে।
অখিলেশ মমতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এসেছি। এসে দেখছি এত মানুষ! দলনেত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। উপস্থিত তৃণমূল নেতারা, এবং সমস্ত কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে আমার শুভেচ্ছা। যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাই। চোখের জলে ভাসলে হবে না, আমাদের মাথা উঁচু করে রাখতে হবে। সব পার্টির এমন সৌভাগ্য হয় না এমন প্রাণ উৎসর্গ করা কর্মী মেলে না। দলের জন্য প্রাণ দিতে পারেন এমন কর্মী সব দল পায় না। এ হল দিদির সৌভাগ্য। কর্মীরাই ভিত্তি দলের।”
আরও পড়ুন- ৫০০ জনের বিরাট মঞ্চ! ১৩টি জায়ান্ট স্ক্রিনে লাইভ, আর কী কী থাকছে ২১ জুলাইয়ের সাজে?
INDIA- র মধ্যে উদ্ধব ঠাকরে বা অখিলেশ যাদবের মতো নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভীষণই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় তাঁরা আলাদা আলাদা করে মিটিং করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুম্বইয়ে এসে দেখা করে গিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে। আবার সংসদীয় একটা দল দেখা করেছেন শারদ পাওয়ারের সঙ্গে।