ট্যুইটে সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও৷
২০১৪ সালের কোনও এক সকালে এক ভয়াবহ দৃশ্য দেখে থমকে গিয়েছিল গোটা গ্রাম৷ গাছের ডাল থেকে ঝুলছে দুই কিশোরীর মৃতদেহ৷ শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ৷ বেশ কিছু বছর পর সেই ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছিল আর্টিকেল ১৫ ছবির মাধ্যমেও৷ আট বছরের পরের সেই ভয়ানক স্মৃতি ফিরে এল উত্তরপ্রদেশে৷ বদায়ুঁর ঘটনারই পুনরাবৃত্তি লখিমপুর খেরিতে৷
দুই দলিত কন্যা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় লখিমপুর। পুলিশ সূত্রে খবর, একজনের বয়স ১৭ এবং অন্যজনের বয়স ১৫। নিগহাসান থানা এলাকার একটি গাছ থেকে তাদের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দুই নাবালিকা সম্পর্কে দুই বোন৷ তাদের মায়ের অভিযোগ, মেয়েদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, কয়েকজন যুবক বাইকে করে ওই নাবালিকদের অপহরণ করেছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে খুন, ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুহেল, জুনায়েদ, হাফিজুল রহমান, করিমুদ্দিন ও আরিফ নামের ৫ যুবককে। ছোটু নামে আরও একজন যে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ প্রধান সঞ্জীব সুমন সাংবাদিকদের বলেন, দুই নাবালিকাকে একটি আখ খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে সুহেল ও জুনায়েদ৷ সুহেল ও জুনায়েদের সঙ্গে দুই বোনের বন্ধুত্ব ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, "মেয়েরা বিয়ের জন্য জেদ করলে, পুরুষরা তাদের দোপাট্টা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর করিমুদ্দিন এবং আরিফ ঘটনাস্থলে এসে ঢাকতে সাহায্য করে। তারা মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল যাতে এটিকে আত্মহত্যার মতো দেখায়।" .