তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতায় এসেছিলেন অখিল গগৈ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতই তাঁর কলকাতা সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল৷ তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অখিল বলেন, 'অসমে তৃণমূলের যে রাজ্য কমিটি হবে, আমাকে তার নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখেন, তাঁদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা নবজাগরণের প্রতীক৷ বিজেপি, আরএসএস-এর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷'
advertisement
অখিল গগৈ অসমের শিবসাগর জেলার বিধায়ক৷ অসমে সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলনেও সামনের সারিতে ছিলেন তিনি৷ এমন কি গ্রেফতার হয়ে ১৯ মাস কারাবাসেও থাকতে হয় তাঁকে৷ অসমে অখিলের আলাদা জনভিত্তি রয়েছে৷ প্রতিবেশী রাজ্যে দলের সংগঠন ছড়িয়ে দিতে তাই অখিলের উপরেই ভরসা রাখছে তৃণমূল৷
অসমের বেশ কিছু অংশে বাঙালি জনসংখ্যা যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য৷ তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশেরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমর্থন থাকবে৷ এর সঙ্গে অখিল গগৈয়ের জনভিত্তিকে যোগ করে অসমেও নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চাইছে শাসক দল৷ কারণ ২০২৪-এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যে যতটা সম্ভব ভাল ফল করা লক্ষ্য তৃণমূলের৷ যে রাজ্যগুলিকে এ রাজ্যের শাসক দল টার্গেট করেছে, তার মধ্যে অন্যতম অসম৷ ২০২৪-এ সংখ্যার খেলায় নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতেই পশ্চিমবঙ্গ বাদে অন্যান্য রাজ্যের দিকেও তাকাতে হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বকে৷ এই পরিকল্পনা সফল হলে একদিকে যেমন বিজেপি-কে দুর্বল করা যাবে, তেমনই বিরোধী জোটে তৃণমূলও নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারবে৷
এই মুহূর্তে অসমে অখিলের নিজস্ব রাজনৈতিক দল রয়েছে৷ যার নাম রাইজোর দল৷ সিএএ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পর দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার হন অখিল৷ জেলে থাকাকালীনই রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি৷ এর পর চলতি বছরের নির্বাচনেই শিবসাগর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তরুণ এই নেতা৷ ফলে অসমের রাজনীতিতে যথেষ্ট জনপ্রিয় মুখ অখিল৷ সেই কারণে অসমে সংগঠন বিস্তারে অখিলকে সঙ্গে নিতে আগ্রহী তৃণমূল৷ কবে অখিল তৃণমূলে যোগ দেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ কিন্তু সেই সম্ভাবনা যে প্রবল, তা অখিলের কথাতেই স্পষ্ট৷