মঙ্গলবার ব্যারাকপুর সংশোধনাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। সেখান থেকে বেরোনোর সময় লালনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর মৃত্যু হয়েছে অসুখে। আমরা চিকিৎসা করেছি। তার পরেই মারা গিয়েছেন। অনেকেই অসুস্থ অবস্থায় আসেন। তাঁদের সরকার যথাসাধ্য ভিতরে চিকিৎসা করে। আবার বাইরেও করে। কিন্তু কেউ মারা গেলে আমাদের কিছু করার নেই।’’
advertisement
আরও পড়ুন- আজ তৃণমূলে যোগ কার? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে
যদিও এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই অখিল দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সংশোধনাগারে যে মৃত্যু হয়, আমি সেই বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। বগটুই নিয়ে কোনও কথা বলিনি।’’ তিনি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ‘‘আমি বগটুই কথাটা শুনতে পাইনি ৷ আমি অন্য সংশোধনাগারের অন্য লালন শেখের কথা বলেছি। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’’ সোমবার রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই শিবিরে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই দাবি করে, আত্মহত্যা করেছেন লালন।
আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় পুরসভার প্রাক্তন মেয়রের ঘর দখল! অভিযোগ কার দিকে?
যদিও লালনের পরিবার তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদুকে। সেই খুনের পর রাতে বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এই কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে লালনের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।