আজকের নিবন্ধটিতে অনিল কন্যা বিশদে আলোচনা করেছেন কী ভাবে সত্তরের শেষদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রাজনীতিতে পা রাখলেন, কী ভাবে ধাপে ধাপে তাঁর উত্তরণ হল। শেষমেষ যে ভাবে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামকে হাতিয়ার করে তিনি মানুষের মন জয় করে ক্ষমতায় এলেন সেই আখ্যানও ছুঁয়ে গিয়েছেন অনিল কন্যা। ইতিহাসের অধ্যাপক অজন্তা ভূয়শী প্রশংসা করেছেন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী-র মতো নারীকেন্দ্রিক প্রকল্পগুলির। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ ও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর দ্বারা।
advertisement
বঙ্গ রাজনীততে নারীশক্তি -এই নামে জাগো বাংলায় একটি তিন কিস্তির নিবন্ধ লিখেছেন অজন্তা বিশ্বাস। প্রাক্ -স্বাধীনতা যুগ থেকেই সমাজ-রাজনীতিতে বাঙালি মহিলাদের অবদান উঠে এসেছে অজন্তার লেখায়, এসেছেন মমতাও। অজন্তার বাবা ছিলেন সিপিএম দলের স্তম্ভ, সিপিএম মুখপাত্র গণশক্তির রমরমা সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের হাত ধরেই। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর কন্যা লেখনীর জন্য কেন জাগো বাংলা পত্রিকা বেছে নিলেন, কেন মমতাকে নিয়ে তিনি আপ্লুত এই প্রশ্নে হইহই বঙ্গ রাজনীতিতে। শোনা যাচ্ছে সিপিএমের অন্দরেও এই নিয়ে যথেষ্ট চর্চা রয়েছে, রয়েছে উষ্মা। একদল দু পা এগিয়ে বলে ফেলছেন আলিমুদ্দিন হয়তো জবাব চাইতে পারে অনিল কন্যার থেকে।
আর অনিল কন্যার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর কোভিড পরিস্থিতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অনিল কন্যা দৃষ্টিভঙ্গি হুবহু বদলে দিয়েছে। আর পাঁচজনের মতো তাঁর ক্ষেত্রেও মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নিজেই যোগাযোগ করেছিলেন, খোঁজ নিয়েছিলেন। তাই বৃত্তটা সম্পূর্ণ করার সময়ে বস্তুনিষ্ঠ ভাবেই তিনি তাঁর নামোল্লেখ করতে ভোলেননি।