মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ঐশী ঘোষকে দিয়ে যাদবপুরের ছাত্র ভোটের আগে সভা করানোকে হাস্যকর বলেই উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপির ছাত্র নেতারা। পাল্টা হুঁশিয়ারি অবশ্য এসএফআই এর তরফেও দেওয়া হয়েছে। তবে ঐশী ঘোষকে দিয়ে সভা করানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের।
এবারের যাদবপুরে ছাত্র ভোটে সরাসরি প্রতিদ্বন্দিতায় নেমেছে এবিভিপি। বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং ও কলা বিভাগের মূল আসনগুলোর প্রত্যেকটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তারা। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান উন্নয়নের কথা লক্ষ্য রেখেই প্রচার কর্মসূচী করছেন বলে দাবি নেতৃত্বের। এদিন অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলোকে একহাত নিয়েছে তারা। তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন এর চেয়ে তারা দেশ-বিদেশের নানা ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করতে ব্যস্ত থাকেন। তবে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দেশদ্রোহী বলতে অবশ্য নারাজ তারা। যদিও ঐশী ঘোষকে দিয়ে সভা করানোর ব্যাপারে আপত্তির কোথাও বিশ্ববিদ্যালয়কে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে এবিভিপি। যাকে কেন্দ্র করেই নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
advertisement
গত ১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর থেকেই সতর্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কোন সভাতে বাইরের কাউকে নিয়ে এলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও ঐশী ঘোষকে দিয়ে সবা করানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়় থেকেই অনুমতি চাইনি এসএফআই। এ প্রসঙ্গে অবশ্য এসএফআই নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছে যেখানে ক্যাম্পাসে বাবুল সুপ্রিয় বা রাজ্যপাল ঢুকতে পারে সেখানে ঐশী ঘোষকে নিয়ে আসলে কেন আপত্তি থাকবে? তাদের তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই শুক্রবারের প্রচার কর্মসূচিও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।