ক্যালেন্ডারে বসন্ত। তবে আকাশের মুখ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। এ যেন বসন্তেই হাজির হয়ে গিয়েছে বর্ষা। আর অকাল বৃষ্টি ভয় ধরিয়েছে কৃষকদের মনে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি, ফুল, পান চাষ।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের বেলিয়াঘাটা, দাদপুর ও আমডাঙায় টমেটো, ক্যাপসিকাম, লঙ্কা চাষ করেন কৃষকরা। টানা বৃষ্টিতে জলের নীচে চলে গিয়েছে চাষের জমি। এই অঞ্চলগুলির আলু, সরষে,পটল ও পেঁয়াজ চাষও ক্ষতিগ্রস্ত। ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে স্বরূপনগর ও হাড়োয়ায় ক্ষতি হয়েছে আমের ফলনেও।
advertisement
নাগাড়ে বৃষ্টিতে পঃ মেদিনীপুরের গড়বেতা ও চন্দ্রকোণার আলু কৃষকদের মাথায় হাত। জমিতে জল জমে মাঠেই পচে যাচ্ছে আলু। তার উপর রাজ্য সড়কের উপর ব্রিজ তৈরির জন্য বাঁধ দেওয়াতে জল জমে বিঘার পর বিঘা জমি জলের নীচে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন শাঁখাবাই এলাকার কৃষকরা।
হঠাৎ ঝড়- বৃষ্টিতে পানের গায়ে তৈরি হয়েছে দাগ। ভেঙে গিয়েছে পানের বরজ। উলুবেড়িয়ার বাসুদেবপুর, খলিসানি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় পান চাষে যুক্ত কয়েক হাজার কৃষকের কপালে জড়ো হয়েছে দুশ্চিন্তা।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে প্রায় নব্বই শতাংশ কৃষক ফুল চাষ করেন। এবছরের ফলনে খুশিই ছিলেন কৃষকরা। তবে কালবৈশাখীর আগাম দাপটে সেই খুশিতেই জল। নতুন রোপণ করা গাঁদা, চিনে, চেরি ফুলের চারা জলে ডুবে দিয়েছে। প্রশাসনিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।